উত্তরের হিমেল হাওয়ার ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। দেখা নেই সূর্যের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে শৈত প্রবাহ আর শীতের তীব্রতা। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন এখানকার নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষরা।
সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে শীত। ঘন কুয়াশার ফলে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে এখানকার যানবাহন গুলো। শীতে সব থেকে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের চরগুলোর বাসিন্দারা। অনান্যবার খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করলেও এবার খড়ের দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
এদিকে শীত বেশি পড়ার কারণে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, ফসল নষ্ট না হওয়ার জন্য দিতে হচ্ছে হিমের ঔষধ। জেলা সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষক ফজলুল হক বার্তা বাজারকে জানান, আমার ধানের বীজ ক্ষেতে গতকাল হিমের ঔষধ দিতে হয়েছে, যাতে এগুলো নষ্ট না হয়।
দিনমজুর সুরুজ আলী বার্তা বাজারকে জানান,আমরা মাটি কাটার কাজ করি, এই শীতে কাজ-কর্ম তেমন নেই, বসে আছি।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলার রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বার্তা বাজারকে জানান, আজ (মঙ্গলবার) থেকে শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। এমন অবস্থা আরো ৩ থেকে ৪ দিন থাকতে পারে। এরপর ঘন কুয়াশার মেঘ কেটে গেলে দেখা মিলবে সূর্যের ।”