আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন। অভিযোগ উঠেছে এ বক্তৃতার পরপরই হঠাৎ আমেরিকার ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের।

ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই তার সমর্থকরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই এই হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা বলে জানা গিয়েছে।

একাধিক রাজনৈতিক মন্তব্যের ফলে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয় এর জন্য এবার গুগলেরর পক্ষ হতে Parler Social Networking App সাসপেন্ড করা হয়েছে। গুগলের পাশাপাশি Apple-ও এই ধরনের কনটেন্ট পাবলিশে সতর্কবার্তা দিয়েছে অ্যাপটিকে।

ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে হামলার পর গোটা বিশ্বে নিন্দিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হিংসায় কার্যত ঘি ঢালার অভিযোগে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করার অভিযোগে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ইতিমধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, টুইটার থেকে তার অ্যাকাউন্ট সারা জীবনের জন্য ব্যান করা হয়েছে।

টুইটার, ফেসবুক-এর পাশাপাশি এই ধরনের হিংসাত্মক কথা, রাজনৈতিক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে টেলিগ্রাম, গ্যাব ও পার্লারেও। যার ফলে এই প্ল্যাটফর্মগুলোতেও লাগাম টানা শুরু হয়েছে।

এদিকে, ট্রাম্পের সমর্থক এবং যারা এই ঘটনাটিতে প্ররোচনা দিচ্ছে, তাদেরও অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। কনটেন্টের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ এনেছে অনেক সংস্থা। গতকাল অ্যাপল-এর পক্ষ থেকে Parler Social Networking App-কে ২৪ ঘণ্টার সময় দেয়া হয়েছে। কারা কারা এই অ্যাপ ব্যবহার করে বুধবারের ঘটনায় হিংসা ছড়াচ্ছে, তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর সিদ্ধান্ত এবং দুটো অন্যতম বড় অ্যাপ ডাউনলোড সংস্থার এমন পদক্ষেপের পর স্বভাবতই এই ধরনের কনটেন্ট ছড়াতে সমস্যায় পড়তে হবে বিক্ষোভকারীদের বলে আশা করা হচ্ছে। গুগল ও অ্যাপল-এর এই সিদ্ধান্তের পর পার্লার অ্যাপের কর্ণধার জন মাৎজে জানাচ্ছেন, অ্যাপল পার্লার-এর স্ট্যান্ডার্ডস জানতে অ্যাপ্লাই করেছে।

অন্যদিকে এ বিষয়ে গুগল জানাচ্ছে, গুগল প্লে স্টোরে যে অ্যাপগুলো অনুমতি পায়, তার সবগুলোতেই যেন কোনো হিংসাত্মক কনটেন্ট না থাকে, অথবা এই ধরনের কন্টেন্ট প্রোমোট না করা হয়, সে বিষয়ে দেখা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে এই ধরনের অ্যাপগুলো সাময়িরভাবে সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

অ্যাপল পার্লার অ্যাপকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বিতর্কিত কন্টেন্ট মুছে ফেলতে বলেছে। যদিও এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি অ্যাপল।