সকল ছাত্র সংগঠনের দাবির মুখেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে না দেওয়াকে রহস্যজনক হিসেবে দেখছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকাপরিষদ নেতা নুরুল হক নূর।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবির সঙ্গে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট সবাই একমত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এ দাবি উপেক্ষা করতে পারে না। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হচ্ছে না। নিশ্চয়ই এর পেছনে কিন্তু রয়েছে।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। ঢাবির সব হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান করে আসছেন তাদের সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কয়েকজন নেতাকর্মী।
ভিপি নূর বলেন, হাট-বাজার, লঞ্চঘাট, অফিস-আদালত সবকিছুই পূর্ণোদ্যমে চলছে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সমস্যা কোথায়? রোনার শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়ে কাজ করা হয়েছিল। তখন একটা যুক্তি ছিল। এখন কিন্তু সব পুরোদমে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বাদ দিলেও স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়ার বাইরে। তারা মানসিকভাবে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, শিক্ষার্থীদের ডিভাইস দেওয়া হবে, ইউজিসি বলেছে শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীকেও বলতে শুনলাম না একটি ডিভাইস পেয়েছে। বরং প্রত্যন্ত অঞ্চল বা পাহাড়ের শিক্ষার্থীদের আক্ষেপ করতে শুনেছি, ক্লাস করতে পারছি না, আমরা কী করতে পারি।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করা রাশেদ খাঁন্ন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন প্রমূখ