একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ঢাকায় পাকিস্তানের নতুন হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তাকে তিনি একথা বলেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রতিমন্ত্রী একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন এবং সম্পত্তির ভাগাভাগির মতো দ্বিপাক্ষিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধানের বিষয় পুনর্ব্যাক্ত করেন।”

২৫ বছর শোষণ-বঞ্চনার পর অধিকার আদায়ে বাংলার মানুষ সরব হলে ১৯৭১ সালে গণহত্যায় নামে পাকিস্তানি বাহিনী। তা প্রতিরোধে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

নয় মাসের ওই মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। সেজন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

এছাড়া আটকে পড়া পাকিস্তানিদের সমস্যার সমাধান যেমন হয়নি; তেমনি বাংলাদেশ ২৫ বছর পাকিস্তানে থাকার ফলে সম্পদের যে ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার কথা, তাও পায়নি।

পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে সাফটা অনুযায়ী পাকিস্তানে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়া, নেতিবাচক তালিকা সহজ করা এবং বাণিজ্য বাধা দূর করার আহ্বানও জানান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহযোগিতার সম্ভাব্য সব ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন নতুন হাই কমিশনার।

২০১০ সালের পর থেকে ঝুলে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ সভা করার বিষয়েও একমত হয়েছে দুপক্ষ।