সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে চীন-লাওস এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়ের সর্বোত্তম সম্ভাবনা নিশ্চিতে লাওসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভিয়েনতিয়েন থেকে ভ্যাংভিং সেকশন পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণে স্মার্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধনের ফলে স্থানীয় যাতায়াত ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নয়ন ঘটবে, যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে এবং অর্থনীতির পাশাপাশি পর্যটনেরও বিকাশ ঘটবে। যার সুফল পাবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে এই স্মার্ট এক্সপ্রেসওয়ের জন্য হুয়াওয়ে তাদের অংশীদার ইয়ুনান হুয়াউয়ান ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় একটি সিকিউর, স্টেবল এবং ইন্টেলিজেন্ট আইসিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।

নতুন এক্সপ্রেসওয়ে উন্মোচনে সন্তোষ প্রকাশ করে টিমার্ক রিসোর্ট ভ্যাংভিং এর কর্মকর্তা পোখাম বলেন, ‘এই সময়ে হোটেল বুকিং উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকরাও ভিয়েনতিয়েন-ভ্যাংভিং এক্সপ্রেস দিয়ে যাতায়াত করে সন্তোষ প্রকাশ করবে। কারণ, হাই-টেক ও ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন, আধুনিক ধারণা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরিকৃত এই এক্সপ্রেসওয়েটি নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর আমাদের পর্যটন খাত ও অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। ফলে, আমার আয়ও বৃদ্ধি পাবে।’

এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির প্রত্যক্ষদর্শী ও এর ওপর পরিবার নিয়ে গাড়ি চালিয়েছেন ভিয়েনতিয়েনের বাসিন্দা নানথাবাথ। তিনি বলেন, ‘নতুন রাস্তাটি পুরনো রাস্তার তুলনায় প্রশস্ত, দ্রুতগামী ও নিরাপদ। ভিয়েনতিয়েন থেকে ভ্যাংভিং যেতে আগে গাড়ি চালিয়ে একদিন সময় লাগত। তবে, এক্সপ্রেসওয়েটি খোলার পর এখন ভিয়েনতিয়েন থেকে ভ্যাংভিং যেতে এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগবে।’

পরিবহন ব্যবস্থা ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশে তথ্য প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা উন্নত সিকিউরিটি সিস্টেম নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের জীবনকেও আরো সহজ করে তুলছে। পাশাপাশি, পুরোপুরি কানেক্টেড ইন্টেলিজেন্ট জীবনের জন্য সমাজের বিকাশেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বিগ ডাটা অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে একটি ডিজিটাল পারসেপশন, ইন্টারেকশন, ট্রান্সমিশন এবং অ্যাপ্লিকেশন ইন্টিগ্রেটেড সল্যুশন সমন্বিত করে রুট তৈরিতে হুয়াওয়ের ডাটা কমিউনিকেশন ও ট্রান্সমিশন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্ট মনিটরিং, ইন্টেলিজেন্ট চাজিং, ইমার্জিং রেসপন্স এবং ডিসিশন অ্যানালাইসিস এর মতো অল-সিনারিও সল্যুশন এর মতো টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও প্রয়োগ করা হয়েছে।

হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৯৪ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে।

শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিভিন্ন সিএসআর কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও নানান অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। অগ্রযাত্রার পথে, বাংলাদেশের সাথে এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে তারা।