ঘন কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনার ফলে টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে সেতুর দুই পাড়ে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের নলকা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে সেতুর ৫ নম্বর পিলারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত যানজট লেগেছিল। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সেতু থেকে পৌলী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজট অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) ইফতেখার রোকন।
তিনি জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে একদিকে পরিবহনের ধীরগতি অন্যদিকে সেতুর উপর দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ছিল এই যানজট।
এর আগে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে বন্ধ ছিল সেতুর দুই পাড়ের টোল আদায়।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে যানজটের কারণে ঢাকামুখী পরিবহনগুলো সেতুপূর্ব গোলচত্বর থেকে ভূঞাপুর হয়ে ঘুরে এলেঙ্গা দিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আইয়ুবুর রহমান জানান, সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ ছিল। এছাড়া রাতে সেতুর পশ্চিম পাড়ের অংশে ৫ নম্বর পিলারে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে যানজট আরও বেড়ে যায়। তবে সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে মহাসড়কে যানচলাচল ধীরগতিতে চলছে। উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনের চাপ না থাকলেও ঢাকামুখী পরিবহনের চাপ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাগামী পরিবহনগুলো সারারাত সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের দিকে অবস্থান করছিল। এতে সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হলে ঢাকামুখী পরিবহনের চাপ বেড়ে যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।