রাতের আঁধারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাবি আদায়ের জন্য অবস্থান নেওয়া শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের পিটিয়েছে পুলিশ। সোমবার ভোর ৫ টার দিকে দিনের আলো ফোঁটার আগেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদের পিটিয়ে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা।

ঘুমন্ত অবস্থায় আচমকা পিটুনি ও পানি ছিটানোর কারণে প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাত থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় সেখানে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা। পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়।

তবে লাঠিচার্জের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কে বা কারা শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে তা তারা জানেন না।

এদিন ভোর সোয়া ৬টার দিকে সচিবালয় সড়ক থেকে এগিয়ে প্রেসক্লাব মোড়ে যেতেই দেখা মেলে শতাধিক পুলিশ সদস্যের। সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে আন্দোলনকারীদের পোস্টার, ব্যানার এবং বিভিন্ন কাগজপত্র।

প্রেসক্লাবের অদূরে তোপখানা রোদের গলিতে গিয়ে পাওয়া যায় বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান নেওয়া বহু শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের।

সেখানে নীলফামারীর একটি স্বতন্ত্র এবতেদিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে হঠাৎ বাঁশির শব্দ ও চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে কপাল ও পায়ে।

তার সঙ্গে থাকা অনেক শিক্ষকই অতর্কিত লাঠিচার্জে সরে যেতে বাধ্য হন বলে জানান। অনেকেরই মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা, জরুরি কাগজপত্র হারিয়ে গেছে।

এওয়ান গার্মেন্টসের একজন কর্মী বলেন, ‘সারারাত গাড়ির শব্দে এমনিতেই ঘুম আসে না। গভীর রাত পেরিয়ে ভোরের দিকে যখন একটু ঘুম আসছিল তখনই পুলিশ অতর্কিত লাঠিচার্জ করে। বাছ-বিচার ছাড়াই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে করা হয় মারধর। শত শত শিক্ষক ও শ্রমিকের আহাজারিতে আশেপাশের এলাকায় রাতের নিস্তব্ধতা ভাঙে।