আনসার ভিডিপি’র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে, গত ১৯ জুলাই আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে সব সেনানিবাস এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি অবৈধ উপায়ে তার উপার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তা যাচাই-বাছাই করে দুদকের উচ্চপর্যায়ের টিম। পরে তা অনুমোদনের জন্য কমিশনে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান কমিটি গঠনে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। কমিটিতে দুদকের এক পরিচালকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ওই টিমে আরও একজন উপপরিচালক রয়েছেন। এ বিষয়ে একটি টিম বিভিন্ন দফতরে সারওয়ার্দীর সম্পর্কে তথ্য চাইবে বলে জানা গেছে। তবে দুদকের দায়িত্বশীল কেউ এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বিভিন্ন সময় নানা বিতর্কিত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচিত ও সমালোচিত। মোবাইল ফোনে হুমকি ও মানহানির অভিযোগে সাবেক স্ত্রী ফারজানা নিগারের বিরুদ্ধে ২৭ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন তিনি।
আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের পাশাপাশি স্ত্রী ও সন্তানের নামে বিদেশে বাড়ি-গাড়ি ফ্ল্যাট করারও অভিযোগ মিলেছে। খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে দুদক। সম্প্রতি দুদকে একটি অভিযোগপত্রে হাসান সারওয়ার্দীর অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ আসে। নিয়ম অনুযায়ী তা কমিশনে দাখিল করা হলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দিয়ে তথ্য চাইবে দুদকের তদন্ত দল।