যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচলকে আরো সহজতর করতে যমুনা নদীর উপর সবচেয়ে বড় রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।

রোববার (২৯ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত রয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। ডাবল লাইন হওয়ায় কোনো ধরনের অপেক্ষা ছাড়াই সর্বোচ্চ একশো কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে ট্রেন।

সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে হবে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৫ সাল নাগাদ সেতুটি চালুর হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে একইসঙ্গে দুটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি সব ধরনের মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ডেডিকেডেট রেল সেতু।