নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করছেন তার আইনজীবীরা। বিএনপি চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক কার্যক্রম চলবে, এমনটাই জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।

কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭ কোটি টাকা ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

মামলার প্রধান আসামী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ১১ বছর পর ২০১৮ সালের ৫ মে বেগম জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার প্রধান আসামীর অসুস্থতার কারণে আবেদন করায় কয়েক দফা পিছিয়েছে অভিযোগ গঠনের শুনানি। অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন নির্ধারিত আছে আগামী মাসের ৫ই জানুয়ারি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন,দুই নেত্রীকে ওয়ান এলেভেন এর সময় যারা মাইনাস-টু করতে চেয়েছিল । দেশে থেকে বিতারিত করতে চেয়েছিল তাদেরকে। একটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।দুইটি মামলা করেছিল তারা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মামলা খারিজ হয়ে গেলেও,খারিজ পায়নি বিরোধী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ক্ষমতায় না থাকায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদক সুযোগ নিয়ে এই মামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

বেগম খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ইমিউনিটি যার নেই বললেই চলে। তার শারিরীক অবস্থা খুবই দুর্বল। সেই রকম একজন মানুষকে আদালতে উপস্থিত করে বিচার কাজ পরিচালনা করার মত ঝুঁকি কে নিবে। এর দায় সরকার নিবে না বলেই তাকে মুক্তি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরাও এই ঝুঁকি নিব না। যিনি মামলার অভিযুক্ত আসামি যার বিরুদ্ধে চার্জ প্রস্তাব করা হবে তিনি আদালতে উপস্থিত থাকবেন। তিনি উপস্থিত থেকে শুনার পর অভিযোগ গঠন করা হবে। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে চার্জ গঠন করা, শুনানি গ্রহণ করা অযৌক্তিক। এখানে রাজনীতির কিছু নেই।

এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এটা মোটেও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা না। এই আমলার পরবর্তী তারিখ ৫ই জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। উনি বেশ কয়েকদিন আসেনি অসুস্থতার অযুহাতে আসে নি। আমরা আশা করি উনি এবার আসবেন। যদি উনি না আসেন,আসামির অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করা যায়।