আমরা যতই এড়িয়ে যেতে চাই কিন্তু আমাদের বয়স বাড়বে একথা সত্য। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন হারিয়ে আরও পাতলা হতে থাকে। এর ফলে চোখের চারপাশের শিরা স্পষ্ট হয়ে চোখের ডার্ক সার্কল আরও বেশি দেখা দেয়। স্ট্রেস এবং ঘুমের অভাবেও ডার্ক সার্কেল হয়।

তবে, বয়স বাড়ার প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল। চোখের নীচে ফোলাভাব আর ডার্ক সার্কেল ঢাকতে অনেকেই কনসিলার প্রয়োগ করেন তবে তা স্থায়ী সমাধান নয়। সাধারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনলে যেমন, বেশি ঘুম, হাইড্রেটেড থাকা এবং চোখ না ঘষার অভ্যাস ডার্ক সার্কেল মোকাবিলায় অনেক সময় সাহায্য করে।

ডার্ক সার্কেল কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?

ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভিতে ডা সৌরভ শর্মাঃ এমএস এবং এমসিএইচ (প্লাস্টিক সার্জন), বলেছেন, “বেশিরভাগ সময় ডার্ক সার্কল অস্থায়ী হয় এবং প্রায়শই বার্ধক্য বা ঘুমের অভাবের কারণে তা দেখা দেয়। যদিও চোখের চামড়ার হাল ফেরাতে ঘরে ঘরে প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসা এবং ঘরোয়া টোটকা রয়েছে তবে সাধারণত ডার্ক সার্কল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি বিবর্ণতা বা ফোলাভাব আরও খারাপদিকে যেতে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধের কিছু টোটকাও জানিয়েছেন তিনি।

  • কাজের ও মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
  • আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার আপনার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াবে এবং আপনার ডার্ক সার্কেল হ্রাস করবে।
  • সবসময় চোখের ত্বক ময়শ্চারাইজ করুন।

১. ঠান্ডা শসার টুকরো ব্যবহার করুন:

শসাতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা চোখের চারপাশে ফোলা ভাব হ্রাস করতে পারে। দুই চোখের উপর কাটা শসার টুকরো রাখুন। পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

২.কোল্ড টি ব্যাগ ব্যবহার করুন:

চা ব্যাগে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ক্যাফিন রক্তনালী সঙ্কুচিত করতে এবং তরল ধারণক্ষমতা হ্রাস করতে সহায়তা করে।

৩. বেশি ঘুমান:

ঘুম কম হলে ডার্ক সার্কেল হয়। ঘুম কম হলে আপনার ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায়, যা ডার্ক সার্কেলকে আরও স্পষ্ট করে তোলে। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমান।

৪. মাথা উঁচুতে রেখে ঘুমান:

ঘুম কম হলে যেমন ডার্ক সার্কেল হয় তেমনই কীভাবে ঘুমোচ্ছেন সেটাও বড় বিষয়। ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধ করার জন্য মাথার নিচে কয়েকটি বালিশ দিয়ে উঁচু করুন যা চোখের নিচের তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।

ডার্ক সার্কেলের প্রতিরোধে ঘরোয়া প্রতিকার:

ঠাণ্ডা সেঁক:

সকালে বা সন্ধ্যায় শসার টুকরো বা রস দিয়ে ১০ মিনিটের জন্য বা দিনে দু’বার এই ঠাণ্ডা সেঁক দিন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

আলুর রস:

আলুর রস ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস। আলুর রস তুলোয় ভিজিয়ে চোখের উপর দশ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

দুগ্ধজাতীয় পণ্য:

ঠান্ডা দুধের মতো দুগ্ধজাত খাবার, হলুদের পেস্ট সহ বাটার মিল্ক ভিটামিন-এ’র সমৃদ্ধ উৎস। এগুলি ত্বককে উজ্জ্বল এবং তরুণ করে। তুলোয় করে এই উপাদান আপনার চোখের নীচের অংশে প্রয়োগ করতে পারেন।