রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৬০-৭০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনার পর এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী ভলান্টিয়ার ও বস্তির বাসিন্দারা কাজ করছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত ১টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম। প্রথম রেসপন্স করে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও স্টেশন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত কাজ শুরু করেন তারা।

তিনি আরও বলেন, সর্বমোট ২০০ ফায়ার কর্মী ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা গ্যাস লিকেজ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। এ বস্তিতে ছোট ছোট প্রচুর ঘর রয়েছে এখনই নির্দিষ্টভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, নানাবিধ কারণে বস্তিতে আগুন লাগতে পারে। রাজধানীর প্রায় বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ থাকে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, গ্যাস লাইন লিকেজ বা সিলিন্ডার লিকেজ, সিগারেটের আগুন থেকে অথবা মশার কয়েল থেকেও আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বলা যাবে।