রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়িসহ পুড়ে গেছে বহু মানুষের স্বপ্ন। এ ঘটনায় ৬০ থেকে ৭০টি বস্তিঘর পুড়ে গেছে।
আগুনে বস্তির বাসিন্দা বীথি রানীর বিয়ের বেনারসি শাড়ি পুড়ে গেছে। অপরদিকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়ার পাঠ্যবইগুলোও পুড়ে গেছে।
এ ঘটনায় মো. রকিব (১৫) নামে এক কিশোর দগ্ধ হযেছে। সে কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর থানা এলাকার মাতকলা গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তার পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকলেও সে সাততলা বস্তিতে এক আত্মিয়র বাসায় থেকে ট্রাকের লেবার হিসেবে কাজ করতো।
রাকিব জানায়, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। এর কিছুক্ষণ পরই ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরের আগুনের তাপ অনুভব করে। এরপর তাকিয়ে দেখে চারদিকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে সে ঘর থেকে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে তার আগেই হাত, পা, বুক দগ্ধ হয়।
এর আগে ১১ টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।