প্রেমের সম্পর্কের কারণে একই এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৩ মাস পর মিম খাতুন (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীর কঙ্কাল পাওয়া গেছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামে মাদরাসার পেছনে মাথাভাঙ্গা নদীর পাশ থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ওই কঙ্কালের খুলি ও হাড় উদ্ধার করেন দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। পরে গায়ের কাপড় ও ভ্যানিটি ব্যাগ দেখে কঙ্কালটি মিমের বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। মিম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে। তিনি এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের কওমি মাদরাসার পেছনে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের মাথার খুলি ও হাড় দেখতে পান একই গ্রামের এক ব্যক্তি। মুহূর্তেই ওই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথার খুলি ও হাড় গোড় দেখে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় কঙ্কালের পাশ থেকে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যাগে জেএসসির সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তাতে তার নাম মিম, ঠিকানা কুষ্টিয়া দৌলতপুর লেখা আছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, উজিরপুর গ্রামস্থ মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের হাড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কঙ্কালটির ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই হত‌্যার সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। আলামতের সূত্র ধরে হত‌্যাকারীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।