নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নে আব্দুর রহিম (৩৯) এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন। এসময় তার কাছ থেকে একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ডাকাতিকালে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির ছোরার আঘাতে আহত হয়েছেন আশরাফ হোসেন মোহন নামের এক ব্যক্তি।

সোমবার ভোর ৪টার দিকে কাদরা ১নং ওয়ার্ড নন্দিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত আব্দুর রহিম ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লোকমান হোসেন প্রকাশ রোকার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর রাতের দিকে নন্দিরপাড় গ্রামের প্রবাসী আশরাফ হোসেন মোহনের বাড়ীতে ১০-১২ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে। ডাকাতদল মোহনের ঘরের ছাদের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা মালামাল লুট করে ঘরের প্রধান দরজা খুলে বের হয়ে যাওয়ার সময় প্রবাসী মোহন পিছনে থাকা ডাকাত সদস্য আব্দুর রহিমকে লোহার রড দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দেয়। ঘরে আটকে যাওয়া ডাকাত আব্দুর রহিমের সাথে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সে মোহনকে ছোরা দিয়ে আঘাত করে। মোহনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুঁটে আসলে বাহিরে থাকা ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে লোকজনের সহযোগিতায় ডাকাত রহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। আহত ডাকাত আব্দুর রহিম ও প্রবাসী মোহন সেনবাগ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রবাসী আশরাফ হোসেন মোহন জানান, ডাকাত আব্দুর রহিমকে আটক করা গেলেও তার অন্য সদস্যরা ঘরের আলমেরি ভেঙে ৮ভরি স্বর্ণ, নগদ ২লাশ ৭০হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের উপস্থিতি টের পেয়েও জীবন রক্ষার্থে আমরা প্রথমে বাধা দিয় নি। সুযোগ বুঝে কৌশলে এক ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হই।

সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহত ব্যক্তি পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।