রাঙ্গামাটির পাহাড়ি এলাকায় উৎপাদিত আনারস থেকে তৈরি চিপস ব্যপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। এতে নতুন করে উন্মচিত হচ্ছে অর্থনৈতিক দ্বার। কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙামাটি নানিয়ারচর হর্টিকালচার সেন্টার কর্তৃপক্ষ পাহাড়ের ফলমূল দিয়ে চিপস ও আচার বানানোর জন্য পাইল্ট প্রকল্প নেওয়া হয়। এর আওতায় রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় নির্মাণ করা হয় আনারসের চিপস উৎপাদন কারখানা। ২০২০ সালের জুন মাসে কারখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২২ সালে। তবে এরই মধ্যে ওই কারখানায় পরীক্ষামূলক আনারসের চিপস উৎপাদন সফল হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

শুধু আনারস নয়, পাহাড়ে উৎপাদিত তেঁতুল, কাঁঠাল, মিষ্টি আলু ও কলা দিয়েও চিপস তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। একই সঙ্গে তেঁতুল, জলপাই, আমলকী দিয়ে ও হরেক রকম আচার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলার হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আড়াই হাজার প্যাকেট আনারসের চিপস উৎপাদন করা হয়েছে। এটি চলমান থাকবে ২০২২ সাল পর্যন্ত। মূলত, বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পাহাড়ের উৎপাদিত আনারস অর্থনৈতিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

পার্বত্যাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ আনারস উৎপাদন হয়। কিন্তু তার মূল্য কখনো কৃষকরা পায়নি। সংরক্ষণেল অভাবে বাজারজাত করা যেত না। পরিবহন সংকটের কারণে অনেক আনারস বাগানে পচে নষ্ট হতো। কিন্তু এখন তা আর হবে না। আনারসের চিপস তৈরি কারখানা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কিনে নিয়ে যাচ্ছে আনারস। এতে অর্ধেক কমে গেছে আনারস কৃষকের কষ্ট।