আগামী বছরের গোড়ার দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যোগদানের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হলে এরদোয়ান ঢাকা সফরের ব্যাপারে সম্মতি জানান। এ সময় তিনি নতুন সদস্য যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণের ব্যাপারে জোর দেন।

উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাণিজ্যিক পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, আরও বেশি প্রতিনিধিদল প্রেরণ এবং মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামরিক খাতে চলমান সহযোগিতা শক্তিশালী বলে অভিহিত করেন তারা। আলোচনায় উভয়েই বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্ক বাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের বিনিয়োগ। এছাড়া উভয় দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশে তুরস্কের আর্থিক সহযোগিতায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রস্তাব দেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্যাতিত ও দুর্গত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তুরস্ক হতে আরও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রেরণে আশ্বাস প্রদান করেন।

মহামারি কোভিড-১৯ অবসানের পর দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নব-নির্মিত তুরস্কের দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাংলাদেশে ভ্রমণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে উচ্চতর পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ উচ্চতর পর্যায়ে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফোরাম গঠনের ব্যাপারে একমত হন।

বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভাসওলু উপস্থিত ছিলেন।