রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ নামের করোনাভাইরাস টিকার পরীক্ষা প্রথম ব্যাচের ডোজ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। টিকাটি অচিরেই আঞ্চলিক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে। খবর এনডিটিভির।
দেশটির গামালিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অব ইপিডেমিওলোজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি, রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) স্পুটনিক-৫ টিকাটি তৈরি করেছে।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ রোধে প্রথম ব্যাচের গাম-কোভিড-ভ্যাক (স্পুটনিক-৫) টিকার প্রয়োজনীয় সব গুণগত পরীক্ষা শেষে তা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং প্রথম ব্যাচের সব টিকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী থেকে নাগরিকদের এই টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে শিক্ষক ও চিকিৎসকরা টিকা পাবেন।
গত ১১ আগস্ট রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের প্রথম এ টিকা অনুমোদন দেয়। এরপর অসংখ্য অভিযোগ আসতে থাকে এই টিকার বিষয়ে। টিকা তৈরিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নৈতিকতার ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ হওয়ার অভিযোগ এনে দেশটির এক শীর্ষ চিকিৎসা কর্মকর্তা পদত্যাগও করেছেন। অধ্যাপক আলেক্সান্ডার চুচালিন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নৈতিকতা বিষয়ক পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। শুধু পদত্যাগ করেই ক্ষান্ত হননি শ্বাসতন্ত্রের ওই চিকিৎসক, রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ৫’ তৈরি নিয়েও গুরুতর সব অনিয়মের কথা বলেছেন।
রাশিয়ার গবেষকেরা বলছেন, গবেষণার অংশ হিসাবে তাদের টিকা গ্রহণ করা প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা করোনার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এ টিকার বড় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।