শ্রমবাজারের ভারসাম্যহীনতা এবং দেশের জনসংখ্যার উপর এর প্রভাব মোকাবেলায় সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে
কুয়েত সরকার। তার জন্য দেশটির সরকার যে পরিকল্পনা করছে, সেই পরিকল্পনার অন্যতম হচ্ছে ৩ লাখ ৭০ হাজার বিদেশি শ্রমিককে ফিরিয়ে দেওয়া।

আগামী শনিবার (১৫ আগস্ট) এ বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে।

মানবসম্পদ উন্নয়নমূলক সভায় এই কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন দেশটির শ্রম বিষয়ক মন্ত্রী মরিয়ম আল-আকিয়েল।

আল-রাই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য মতে, এই কর্মপরিকল্পনাটিতে চারটি মৌলিক কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রথমটি হলো, ধীরে ধীরে স্থানীয়দের সাথে ১ লাখ ৬০ হাজার বিদেশী কর্মচারী প্রতিস্থাপন করা এবং সরকারী খাতে শ্রমশক্তি প্রবাহ হ্রাস করা।

দ্বিতীয় কৌশলটি হলো, আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারী ১ লাখ ২০ হাজার ও ১ লাখ ৫০ হাজার অদক্ষ শ্রমিকসহ মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার শ্রমিককে অব্যাহতি দেওয়া।

তৃতীয় কৌশলটির লক্ষ্য হলো, প্রান্তিক কর্মসংস্থান হ্রাস, খণ্ডকালীন স্বল্প বেতনের চাকরি এবং একটি স্মার্ট নিয়োগ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের মান বৃদ্ধি করা।

চতুর্থ কৌশলটি হলো, ডিজিটালাইজেশন সক্রিয়করণের মাধ্যমে সরকারি খাতে অস্থায়ী কাজের চুক্তিগুলিকে ৩০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস করা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে যে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কুয়েত প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকে তার সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। কেননা দেশটির অর্থনীতি বিশ্ব তেলের দামের উপর নির্ভরশীল, যা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ নিচে নেমে গেছে।

সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর