মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকান্ড নিয়ে সারাদেশে যখন তোলপাড়; হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সব মহল সোচ্চার। তখন প্রতীপ ও লিয়াকতকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তখন টেকনাফ থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে র্যাব আটকের পর তাদের বাড়িতে গিয়ে অপহরণ মামলা করতে বাধ্য করে টেকনাফ থানা। এতে পুলিশ কি অভিযুক্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতকে রক্ষার জন্য মামলা তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে চায়? নাকি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকতের অপকর্ম আড়াল করে বাঁচাতেই সক্রিয়? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে। যদিও অপহরণ মামলা করতে বাধ্য করার ঘটনা অস্বীকার করে টেকনাফ থানার কর্মকর্তারা জানান এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ৪ পুলিশসহ ৭ আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল র্যাব। এর আগে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা র্যাব। পরে তাদের কক্সবাজার জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এই তিনজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে বলেও জানিয়েছে র্যাব। মঙ্গলবার আদালতে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চাইলেও শুনানি শেষে আদালত তাদের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারের আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে তাদের দুই সাক্ষী বলেছেন, মেজর সিনহা হত্যার বিষয়ে তারা কেউ নিজের চোখে কিছু দেখেননি। ৩১ জুলাই ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়।