ইহুদিদের সব প্রচেষ্ঠা ব্যর্থ করে আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের হয়ে লড়ার জন্য প্রাথমিক মনোনয়নে জয় করেছেন ডেমোক্রেট সিনেটর ইলহান ওমরে।
আমেরিকান ইসরাইলি পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি (এআইপিএসি) এবারের নির্বাচনে ইলহান ওমরের প্রার্থীতা ঠেকাতে শুধু ফেসবুক পেইজে ছয় লাখ ডলারের বেশি মূল্যের বিজ্ঞাপন ব্যয় করেছে। আর আমেরিকান ইহুদি কমিটিও খুব একটা পিছিয়ে নেই। ইসরাইল পন্থী এই গ্রুপ দুই মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে তাকে ঠেকানোর জন্য। খবর মুসলিম মিররের।
১১ আগস্ট প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেল ইলহান ওমর ৩২ হাজার ভোট বেশি পেয়ে মিনেসোয়েটার ডেমোক্রেট প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। যার ফলে সামনের মার্কিন নির্বাচনে তাকে শক্ত রিপাবলিকান প্রার্থী সাথে লড়তে হবে।
সাড়ে সাত লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই ডিস্ট্রিকে ৬৭ ভাগ লোক শেতাঙ্গ, ১৭ ভাগ কৃষাঙ্গ আর ৯ ভাগ হিস্পানিক। ইস্রায়েলপন্থী লবি অবশ্য আশা করেছিল, খ্রিস্টান প্রচারণা, ট্রাম্পের সমর্থন, এআইপিএসি’র পক্ষের ডেমোক্র্যাটস এবং ইসলামফোবিয়ার সুযোগে ইলহান ওমরের বদলে অ্যান্টন মেল্টন-মেউক্সকে পরবর্তী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হবে।
কিন্তু মিনেসোটাযর ফলাফল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভক্তদের হতবাক করেছিল। ইলহান ৯২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়েছেন যা ৫৭.৫ ভাগ। যেখানে তার প্রতিদ্বন্ধী পেয়েছেন ৬২ হাজার ৭৭০ ভোট যা ৩৯.২ ভাগ।
২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইলহান ওমর ৬৫ হাজার ২৩৭ পেয়েছিলেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্গ্রেট কেলিহির পেয়েছিলেন ৪১ হাজার ১৫৬ ভোট।
ইসরাইলি লবি ভবিষ্যতবাণী করেছিল, ২০২০ সালের প্রাথমিক মনোনয়নের জন্য ৬০ হাজার ভোট যথেস্ট হতে পারে। ফলে ইলহানের প্রতিদ্বন্দ্বী মেল্টন-মেউক্সকে মনোনীত করানোর জন্য ব্যালট প্রতি ৩২ হাজার ডলার খরচ করেছে। এক্ষেত্রে ওমরের মতামত হলো, সংগঠিত ভোটাররা বিপুল অর্থের বিরুদ্ধে বিজয়ী।
বার্নি স্যান্ডার্স এবং এলিজাবেথ ওয়ার্নারের সমর্থন ছিল ইলহানের দিকে।
তার বিজয়ের পর দেয়া বিবৃতিতে ওমর বলেছিলেন, “আজ রাতে, আমরা কেবল জয় লাভ করিনি বরং আমরা পরিবর্তনের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছি। বাইরে থেকে আমাদের পরাজিত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আমরা আবারো রেকর্ড ভেঙে দিয়ে জয় পেয়েছি। এধরণের আক্রমণ সত্ত্বেও আমাদের সমর্থন ২০১৮ সালের চেয়ে বেড়েছে। এই নির্বাচন আমার জন্য নয়। এটা এমন একটি পরিকল্পনা যা জনগনের প্রত্যেক দিনের কষ্টের ভেতরে রয়েছে- এবং করর্পোরেশন ও কট্টরপন্থী দাতারা ক্রমাগত এতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।