পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হত্যার ঘটনার তদন্তে ‘নিরপেক্ষ কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ১০ শতাংশ পুলিশ অফিসার আছেন, তারা প্রদীপের (সদ্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত প্রদীপ কুমার দাশ) মতোই। বাকিরা সজ্জন…। এই ঘটনার তদন্ত কমিশন না হলে, এটা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভারতের নীতি প্রয়োগের প্রতিবাদে এক সভায় এই দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
এ সময় ভারতের আগ্রাসন নীতির কঠোর সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘প্রতিদিন ভারত সীমান্তে লোক মারছে। আমাদের আওয়াজ নেই। অথচ নেপাল তাদের সংসদে আইন করে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের কোনো কোনো মন্ত্রী বলছেন, আমাদের সঙ্গে ভারতের রক্তের সম্পর্ক। এই রক্ত তো দূষিত রক্ত। দূষিত রক্ত দিয়ে কী হবে? পরিচ্ছন্ন রক্ত দরকার। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে বাংলাদেশের মুক্তি নাই। এই দূষিত রক্ত থেকে আমাদের মুক্তি দরকার।’
সংগঠনের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতির জুনায়েদ সাকি বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের নঈম জাহাঙ্গীর, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের রকিবুল ইসলাম রিপন, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন ও সাবেক ছাত্র নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।
দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া রাশেদ ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ প্রামাণ্যচিত্র তৈরির জন্য মাসখানেক ধরে হিমছড়িতে ছিলেন। তিন সঙ্গীকে নিয়ে তিনি উঠেছিলেন নীলিমা রিসোর্টে।