দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৩৭ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত রয়েছে আলোচিত ঠিকাদার ও যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীমের। এ ছাড়া ঢাকায় তাঁর দুটি বাড়িসহ প্রায় ৫২ কাঠা জমির মালিক তিনি। এসবের দাম ৪১ কোটি টাকা। জি কে শামীম তাঁর অস্ত্রধারী সাত দেহরক্ষীকে দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজি করে অপরাধলব্ধ এসব সম্পদ–অর্থ অর্জন করেছেন।

জি কে শামীমের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলার অভিযোগপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) শামীম ও তাঁর সাত অস্ত্রধারী দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অর্গানাইজড ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আয় করা অর্থ শামীম বিদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিলেন।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্যরা হলেন জি কে শামীমের (৫৫) দেহরক্ষী মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৯), মো. মুরাদ হোসেন (৫২), মো. জাহিদুল ইসলাম (৪১), মো. শহিদুল ইসলাম (৩৬), মো. কামাল হোসেন (৪৯), মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলাম (৩৪)।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের ১৮০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৬ হাজার ৫৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৪২ টাকা লেনদেন করেন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এর মধ্যে বেশির ভাগ লেনদেন হয়।

জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবের পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্রে মন্তব্য করা হয়, জি কে শামীমের ব্যাংক লেনদেনে সর্বমোট ক্রেডিট হয় ৩ হাজার ৪২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১ টাকা। আর ডেবিট হয়েছে ৩ হাজার ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ৩ হাজার ৭৫১ টাকা।