বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর খুব অল্প সংখ্যক মানুষ হজপালনের সুযোগ পেয়েছেন। তন্মধ্যে সৌদি আরবের অধিবাসী ও সৌদি আরবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ১০ হজারজন হজপালনের সুযোগ পেয়েছেন। হজপালনের শর্ত হিসেবে তাদেরকে সুস্থ ও হজের আগে-পরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার অঙ্গীকার করতে হয়েছে।

আরব নিউজের সূত্রে জানা গেছে, এবারের হজে সৌদি আরবের নাগরিক ছাড়া আরও ১৬০ দেশের প্রায় ৭ হাজার মানুষ হজে অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছেন ৫ জন।

তবে হজের সুযোগ দিতে না পারলেও সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্য সুসংবাদ দিয়েছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ। এ বছর হজের খুতবা বাংলা ভাষায় সম্প্রচার করা হবে। ২০১৯ সালের হজে ৫ ভাষায় এই খুতবার অনুবাদ প্রচারিত হয়েছিল। এ বছর আরও ৫টি ভাষা যোগ হয়েছে- যার মধ্যে রয়েছে বাংলাও। অর্থাৎ চলতি বছর হজের খুতবা শোনা যাবে মোট ১০টি ভাষায়।

আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাতারে ময়দানে হাজিদের অবস্থান করতে হয়। এটা হজের ফরজ বিধান। এদিন স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে হজের খুতবা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে হাজিরা মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত নির্দিষ্ট তাঁবুতে অবস্থান করছেন। সেখানে তারা সারাদিন ইবাদত-বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন আরাফাতের ময়দানে। এর পর রওয়ানা হবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবেও করোনার সংক্রমণ চলছে। ফলে অনেক ভেবে-চিন্তে এবার সীমিত পরিসরে হজপালনের সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী হাজিরা হজের আচার-আচরণ পালন করছেন।