সমাজ সেবার লক্ষ্যে ২০০ বছরের পুরোনো উসমানীয় দাতব্য সংস্থা পুনরায় চালু করলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগানের স্ত্রী আমিনা এরদোগান।
তুর্ক পোস্টের সূত্র অনুযায়ী, আজ রবিবার (২৬ জুলাই) এই দাতব্য সংস্থাটি পুনরায় চালু করা হচ্ছে।
দাতব্য সংস্থাটি আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে সমাজের উন্নয়ন মূলক কাজ, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও সাহায্য-সহযোগিতা করার লক্ষ্যে তৎকালীন ‘ওয়ালদায়ে সুলতান’ (সুলতানের মাতা) সুলতানা মেহেরশাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
সুলতানা মেহেরশাহ সুলতান তৃতীয় মোস্তফার স্ত্রী এবং সুলতান তৃতীয় সেলিমমে মাতা।
সুলতান তৃতীয় মোস্তফার ইন্তেকালের পর তার ভাই প্রথম আব্দুল হামিদ সুলতান হিসেবে সালতানাতের দায়িত্ব সামলান।
১৭৮৯ সনে চাচা সুলতান প্রথম আব্দুল হামিদ ইন্তেকাল করলে সুলতান তৃতীয় সেলিম সিংহাসনে আরোহন করলে তার মা সুলতানা মেহেরশাহ ‘ওয়ালদায়ে সুলতান’ হোন।
আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে তিনি এই দাতব্য সংস্থাটির মাধ্যমে সমাজের দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করতেন।
তাছাড়া এই সুলতানা তৎকালীন সময়ে সমাজ উন্নয়ের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি মাদরাসা, মসজিদ, মেডিসিন স্কুল, রাস্তার ধারে বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য ফোয়ারা ও সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও নির্মাণ করেছিলেন।
‘ওয়ালদায়ে সুলতান’ উসমানী খেলাফতের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদবী। সুলতানের মা এই পদের অধিকারী হতেন। সুলতান প্রথম সেলিমের স্ত্রী এবং সুলতান প্রথম সুলাইমানের মা সুলতানা হাফসা খাতুন ১৫২০ সালে এই পদবী প্রথম ব্যবহার করেন। এর আগে সুলতানের মায়েদের ‘মাহদ-ই আলিয়া’ বলা হতো।
এই পদে সর্বশেষ দায়িত্বে ছিলেন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামীদের সৎ মা সুলতানা রহিমা প্রেস্তো। তিনি ১৮৭৬ থেকে ১৯০৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।
সূত্র: তুর্ক পোস্ট