রামবুটান একটি বিদেশি ফল। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় এ ফল এখন দেশেও চাষ হচ্ছে। কৃষিবিদরা বলছেন, ফলটি মালয়েশিয়া, লাওস, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশে বেশ জনপ্রিয়। এ ফল চাষ খুবই লাভজনক। স্বাবলম্বী হতে রামবুটান চাষে উৎসাহ দিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বাজারে এ ফলের প্রতি পিসের দাম ২৫-৩০ টাকা। আর প্রতি কেজির দাম আটশ থেকে এক হাজার টাকা। স্থানীয় নার্সারিগুলোতে রামবুটানের চারা বিক্রি হচ্ছে তিনশ থেকে চারশ টাকা দরে।

ইতোমধ্যে অনেকেই রামবুটান আবাদের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। দেশের নরসিংদী, নেত্রকোনাসহ বেশ কিছু এলাকায় এই ফলের চাষ শুরু হয়েছে।

শেরেবাংলা কৃষি বিশবিদ্যালয়ের উদ্যান তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম জামালউদ্দিন জানান, মোটামুটি বীজ রোপনের ৫-৬ বছরের মধ্যেই গাছ ফল দিতে শুরু করে। এ ফলের মৌসুম আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময় থেকে শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। গাছ ভেদে ৫০-১০০ কেজি ফল পাওয়া সম্ভব। বাঁদুড়, ইদুর ও পাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ফল গাছে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে রামবুটান খাপখাইয়ে নেয়ার ফলে ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। রামবুটান চাষ করে মানুষ অচিরেই স্বাবলম্বী হতে পারবে, যা দেশের বেকারত্ব হ্রাস ও দারিদ্র্যতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

রামবুটানের পরিচিতি
‘রামবুট’ মালয় ভাষার শব্দ, এর অর্থ চুল। তাই কেউ কেউ একে হেয়ারি লিচু বলে থাকেন। অনেকে একে ফলের রানীও বলেন। এতে যথেষ্ট পরিমাণ ঔষধি গুণ বিদ্যমান। কাঁচা অবস্থায় দেখতে ফলটি সবুজ আর পাকলে লাল বা গোলাপী রং ধারণ করে। খোসার গায়ে চুল বা কাঁটার মতো অংশ থাকে এবং কিছুটা কদম ফুলের মতো দেখায়। এটি লিচু পরিবারের ফল। উপরের অংশ ফেলে দিলে ভেতরের অংশ দেখতে লিচুর মতো, বেশ সুস্বাদু।