নতুন জাতের কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে সাফল্য

ঠিক যেন আপেল, আপেলের মতো লাল ও খেতেও ঠিক আপেলের মতোই সুস্বাদু। অতিমিষ্টি কাশ্মীরি নুরানী আপেল কুলের বাগান করে সাফল্যের মুখ দেখছেন শিবচরের বেলজিয়াম প্রবাসী যুবক লিয়াকত বেপারী। ইউটিউবে কৃষি বিষয়ক প্রতিবেদন দেখে বেলজিয়াম থাকা অবস্থায় স্থির করেন দেশের মাটিতে কাশ্মীরি নুরানী আপেল কুলের বাগান করবেন তিনি। চারা রোপণের ১০ মাসের মাথায় গাছগুলোতে ফল আসা শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতা পেলে আরও সাফল্য পাওয়া যেতো বলে জানান পরিচর্যাকারীরা। তবে দ্রুত এ ধরণের উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন কৃষি কর্মকর্তা।

মাদারীপুরের শিবচরের উত্তর বাঁশকান্দি গ্রামে লিয়াকত বেপারীর ফলের বাগান। প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ বিঘা জমিতে রোপণ করেছেন আপেল কুল ও মালটা গাছের চারা। চারা রোপণ করার ১০ মাস পরই চারাগুলো পরিপক্কতা পেয়েছে। গাছে থোকায় থোকায় কাশ্মীরি নুরানী আপেল কুল ধরেছে। প্রতি গাছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কেজি করে আপেল কুল ধরেছে। তবে গেল বুলবুলের তাণ্ডবের কারণে বাগানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন লিয়াকত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে এই আপেল গাছ থেকে প্রায় ৫০ কেজি করে ফল পাওয়া যেত। এছাড়া গাছগুলো একবার পরিপক্ক হয়ে উঠলে ১০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে ওই গাছ থেকে। কেজি প্রতি ৭০ টাকায় পাইকারী দরে বিক্রিও শুরু করেছে। বেড়েছে ক্রেতাদের চাহিদাও। তার এই বাগানে ৭-৮ জন লোক দিনরাত পরিচর্যা রয়েছে। আপেলের মতো দেখতে, এই ফলটি অতি মিষ্টি, খেতে আপেলের মতোই ও সুস্বাদু। পাশাপাশি একই বাগানে মালটা রোপণ করেও সাফল্যের আশা করছেন লিয়াকত বেপারী। তিনি জানান, এখন আমি ফল বিক্রি শুরু করেছি। তবে এই উদ্যোগে উপজেলা কৃষি  সম্প্রসারণ অফিস ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার তেমন সহযোগিতা পাননি বলে বাগান মালিক লিয়াকত বেপারী ও পরিচর্যাকারীদের অভিযোগ।

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ রায় জানান, নতুন জাতের এই কাশ্মীরি নুরানী আপেল ফলটি শিবচরে রোপণ করে প্রাথমিকভাবে সাফল্য দেখা গেছে। এই ফল রোপণ ও চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসকর্তৃক কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।