পরিত্যাক্ত কলার বাকল থেকে উৎপাদিত হচ্ছে উন্নতমানের সুতা। আনন্দ বিল্ডিং কমিউনিটি এন্টারপ্রাইজ অব স্মল হোল্ডারস ইন বাংলাদেশ খাগড়াছড়িতে এ প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গঞ্জপাড়া এলাকায় চলছে এ কাজ।
জানা যায়, কলা গাছের বাকল কোনো কাজে আসে না। কলা সংগ্রহের পর কৃষকরা কলা গাছটি কেটে ফেলে। কিন্তু বর্তমানে এ বাকল থেকে সুতা উৎপাদনে সফলতা পাওয়া গেছে। একটি কলা গাছের বাকল থেকে কমপক্ষে ২শ’ গ্রাম সুতা উৎপাদন করা যায়।
স্থানীয়ভাবে প্রতিটি কলাগাছ ১৫ টাকা দরে কেনা হয়। পরিবহন খরচ বেশি হলে কলা গাছ কিনতে গেলে খরচও বাড়ে। ৫টি কলা গাছের বাকল থেকে ১ কেজি সুতা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৩০ টাকা
এছাড়া কলার বাকল থেকে ফাইবার সংরক্ষণের পর বাকি অংশ থেকে বার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়। প্রতি কেজি কম্পোস্ট সার ২০ টাকায় বিক্রি হয়। এর শ্রমিকরা কমিশন ভিত্তিতে মজুরি পান। প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে একজন শ্রমিক ১৩ টাকা পান। একজন শ্রমিক দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০ কেজি পর্যন্ত সুতা উৎপাদন করতে পারেন।
সুতা উৎপাদনের ক্ষেত্রে পাহাড়ি এলাকা কেন? এর কারণ হিসেবে জানা যায়, এখানে কলা গাছ সহজলভ্য। তবে সফলতা পেলে এ প্রকল্প আরো সম্প্রসারিত হবে। কলার বাকল থেকে পাওয়া সুতা জুট বা কটনের সঙ্গে মিশিয়ে পেপার, হ্যান্ডি ক্রাফট, হ্যান্ড ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা যায়।