দেশের করোনা ভাইরাস এর এই ক্রান্তিলগ্ন সময় সারাদেশ আজ বিপর্যস্ত। এরমধ্যে বন্যা বিপর্যয়। বৃষ্টি এবং বন্যার পানিতে ঢাকা আজ বসবাসের অনুপযুক্ত। এমন সময় নিতে হবে কঠিন পদক্ষেপ সরকারকে, শহর এবং দেশকে বাঁচানোর জন্য। নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছে শহরের নগরপিতারা। শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে শীর্ষ আলোচনা করেছে লেটস গো-অন ফাউন্ডেশন “এলজিএফ” এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি”।

উক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন লেটস গো-অন ফাউন্ডেশন “এলজিএফ” এর সভাপতি জনাব সাইফুল মল্লিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান রতন, ইঞ্জিনিয়ার শেখ কামরুল হুদা, সহ-সভাপতি জনাব আমজাদ হোসেন খোকন, জনাব ইবনুল সাঈদ রানা, ভারপ্রাপ্ত জেনারেল সেক্রেটারি জনাব রাকিবুল ইসলাম সহ সংগঠনের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যবৃন্দরা।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” এর সেন্ট্রাল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব নাহিয়ান ইসলাম, জনাব সীমান্ত আহমেদ সহ আরো অনেকে।

অনুষ্ঠানে লেটস গো-অন ফাউন্ডেশন “এলজিএফ” এর সভাপতি জনাব সাইফুল মল্লিক বলেন- শহরের এই অবস্থার দায়ভার নিতে হবে সবাইকেই। কিন্তু শহর উন্নয়নে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ না করার কারণেই আজ এই অবস্থা। সিটি কর্পোরেশন এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের খাল দখল অন্যতম কারণ নগরের জলাবদ্ধতার।

প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাহবুবুর রহমান রতন বলেন- সারা পৃথিবীতে শহরের উন্নয়নই দেশের পরিচয় ধারণ করে। বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়। সারা দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি শহরের দিকে ও সরকারকে ব্যাপক নজর দিতে হবে। বসবাসযোগ্য শহর আমাদের ঢাকা বাসীর অনেক দিনের দাবি।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জনাব শেখ কামরুল হুদা বলেন- পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাই পারে শহর পরিবর্তন করতে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি দেশের জন্য কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মাস্টার প্ল্যান করে দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে ঢাকা শহরের জন্য।

উপদেষ্টা সদস্য জনাব লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন- দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রথমেই দরকার সময়োপযোগী প্রজেক্ট গুলো বাস্তবায়ন করা। দেশ এবং শহরকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই বসবাসযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী আধুনিক শহর তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে। সেইসাথে দেশব্যাপি ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সহ-সভাপতি, জনাব আমজাদ হোসেন খোকন বলেন- শহরের এই অবস্থার জন্য শুধু নগর ভবন দায়ী নয় এর সাথে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এর দায়ভার নিতে হবে। ঢাকা ওয়াসার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন গুলোকে দিয়ে দেওয়া উচিত। নতুন নগরপিতাদের কাছে শহরের মানুষের একটাই অনুরোধ পরিচ্ছন্ন, পানি মুক্ত, সুশৃংখল শহর চাই।

সহ-সভাপতি, জনাব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন- শহরের এই করুন অবস্থার জন্য দায়ভার নিতে হবে সরকারি দপ্তর গুলোকেই। অনিয়মতান্ত্রিক উপায় শহরকে পরিচালনা করার কারণেই আজ আমাদের প্রিয় ঢাকার এই করুন অবস্থা।

সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)জনাব রাকিবুল ইসলাম বলেন- দেশের উন্নয়নের কমতি নেই, কিন্তু শহর এবং দেশকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই। দেশের প্রত্যেকটি প্রজেক্ট ১৫ থেকে ২০ বছরের দায়িত্ব নিতে হবে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকেই।

সাধারন সম্পাদক (সাংগঠনিক) জনাব ড.সাঈদ রেজা বলেন- দীর্ঘমেয়াদী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন প্রয়োজন বাংলাদেশে। শহর এবং দেশ দুই পরিবর্তনের জন্য বাস্তবসম্মত, সময় উপযোগী, এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রজেক্ট হাতে নিতে হবে সরকারকে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” কার্যনির্বাহী সদস্য জনাব নাহিয়ান ইসলাম বলেন- একটু পানি হলে আমাদের ঢাকার যে অবস্থা হয় তাতে এই শহর বসবাসের অনুপযুক্ত বলাই স্বাভাবিক। উন্নত বিশ্বের মতো প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদিতে ব্যবহারে কঠোর হতে হবে সরকার এবং সিটি করপোরেশনকে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” কার্যনির্বাহী সদস্য জনাব সীমান্ত আহমেদ বলেন- দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে শহর তৈরি করতে হবে। শহরের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে দেশের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় কে। পাশাপাশি তরুণদেরকে দিয়ে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

২৪ তারিখ শুক্রবার সকাল দশটায় এক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানের বিভিন্ন মতামত উঠে আসে। মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা- লেটস গো-অন ফাউন্ডেশন “এলজিএফ” এবং বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” খুব শিগগিরই “শহর উন্নয়ন এবং রক্ষায় কার্যক্রম” শীর্ষ কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তার একটি তালিকা প্রকাশ করবে।