জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুনি, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানায়, রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য গত ১৭ জুন বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলসকে চিঠি দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।

দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার রাশেদ চৌধুরীর আশ্রয় মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য তার দফতরে নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন।

প্রায় ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করে যুক্তরাষ্ট্র।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রক্রিয়ার শুরুর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের সুযোগ হারাতে পারেন বঙ্গবন্ধুর এই খুনি।

বাংলাদেশ সরকার অনেক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। সবশেষ গত এপ্রিলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের কাছে এই অনুরোধ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।

রাশেদ চৌধুরীর আইনি প্রতিষ্ঠান মরিসন এন্ড ফয়েসটার এর একজন মুখপাত্র মার্ক ভ্যান ডার হাউট পলিটিকোকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মনে হচ্ছে অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদ চৌধুরীর পক্ষে অভিবাসন আদালতের রায় পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।

বাংলাদেশি অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রায় পর্যালোচনার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘসূত্রি হলেও এর ফলে শেষ পর্যন্ত রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী। এর কিছু দিনের মধ্যে তিনি দেশটিতে আশ্রয়ের আবেদন করে প্রায় দশ বছর পর আদালত থেকে তার পক্ষে রায় পান।

যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর নিউইয়র্কে ছিলেন রাশেদ চৌধুরী। এরপর তিনি কোথায় আছেন তার কোনো তথ্য নেই কারো কাছে।

তবে অনেকের ধারণা, তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থান করছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলসের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু করে অ্যাটর্নি জেনারেল আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।