ভারতীয় বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশিদের হত্যা বন্ধ ও কথিত গরু পাচার বন্ধ করতে সঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে সরকার।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবুল মোমেন এক বিবৃতিতে বলেন, সম্প্রতি সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া দুঃখজনক।

তিনি বলেন, আমরা [বাংলাদেশী ও ভারতীয়রা] বন্ধু। সীমান্তে তাই কোন হত্যাকাণ্ড ঘটা উচিত নয়। কারো জীবন চলে গেলে তা ফিরিয়ে আনা যায় না।

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সবসময় হত্যাকাণ্ডের জন্য গরু চোরাচালানকে অযুহাত হিসেবে দেখায় বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের চোরাচালান হওয়ার কথা নয় কারণ বাংলাদেশেই এখন পর্যাপ্ত গাবাধিপশু রয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব এলাকাকে গরু চোরাচালানের হটস্পট হিসেবে বলা হচ্ছে ঢাকা সেগুলোকে চিহ্নিত করে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন যে সীমান্তে মৃত্যু শূন্যে নামিয়ে আনতে দুই পক্ষ লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে একমত হয়েছে। বিএসএফ-কে সাবধান হতে হবে এবং তাদের সীমান্তে পাহারা দেয়ার সময় নন-লেথাল অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত।

আসামের করিমগঞ্জ জেলায় তিন বাংলাদেশী নাগরিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার তিন দিন পর এই ইস্যুতে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মানবাধিকার সংগঠন আইন-ও-সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব মতে ২০১৯ সালে ৪৩ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বিএসএফ। ২০১৮, ২০১৭ ও ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ১৫, ২৪ ও ৩১।

এসব হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলে, এ ধরনের হত্যকাণ্ড মানবাধিকারের স্থূল লঙ্ঘন। এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সন্দেহের বশে এভাবে বিনাবিচারে হত্যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বার বার এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধের জন্য ভারতকে বাংলাদেশ কঠোর বার্তা দেবে বলেও আশা করে আসক।