প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাহবুবুর রহমান রতন বলেন- সারা পৃথিবীতে শহরের উন্নয়নই দেশের পরিচয় ধারণ করে। বাংলাদেশ ও এর ব্যতিক্রম নয়। সারা দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি শহরের দিকে ও সরকারকে ব্যাপক নজর দিতে হবে। বসবাসযোগ্য শহর আমাদের ঢাকা বাসীর অনেক দিনের দাবি।
প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জনাব শেখ কামরুল হুদা বলেন- পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাই পারে শহর পরিবর্তন করতে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি দেশের জন্য কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মাস্টার প্ল্যান করে দীর্ঘমেয়াদী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে হবে ঢাকা শহরের জন্য।
উপদেষ্টা সদস্য জনাব লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন- দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রথমেই দরকার সময়োপযোগী প্রজেক্ট গুলো বাস্তবায়ন করা। দেশ এবং শহরকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রথমেই বসবাসযোগ্য দীর্ঘমেয়াদী আধুনিক শহর তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে। সেইসাথে দেশব্যাপি ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
উপদেষ্টা সদস্য আলহাজ্ব জনাব মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন- দেশের উন্নয়নের কমতি নেই, কিন্তু শহর এবং দেশকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার কোন বিকল্প নেই। দেশের প্রত্যেকটি প্রজেক্ট ১৫ থেকে ২০ বছরের দায়িত্ব নিতে হবে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকেই।
সহ-সভাপতি, জনাব আমজাদ হোসেন খোকন বলেন- শহরের এই অবস্থার জন্য শুধু নগর ভবন দায়ী নয় এর সাথে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় এর দায়ভার নিতে হবে। ঢাকা ওয়াসার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশন গুলোকে দিয়ে দেওয়া উচিত। নতুন নগরপিতাদের কাছে শহরের মানুষের একটাই অনুরোধ পরিচ্ছন্ন, পানি মুক্ত, সুশৃংখল শহর চাই।
সহ-সভাপতি, জনাব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন- শহরের এই করুন অবস্থার জন্য দায়ভার নিতে হবে সরকারি দপ্তর গুলোকেই। অনিয়মতান্ত্রিক উপায় শহরকে পরিচালনা করার কারণেই আজ আমাদের প্রিয় ঢাকার এই করুন অবস্থা।
সাধারন সম্পাদক (সাংগঠনিক) জনাব ড.সাঈদ রেজা বলেন- দীর্ঘমেয়াদী এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রজেক্ট বাস্তবায়ন প্রয়োজন বাংলাদেশে। শহর এবং দেশ দুই পরিবর্তনের জন্য বাস্তবসম্মত, সময় উপযোগী, এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রজেক্ট হাতে নিতে হবে সরকারকে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” কার্যনির্বাহী সদস্য জনাব নাহিয়ান ইসলাম বলেন- একটু পানি হলে আমাদের ঢাকার যে অবস্থা হয় তাতে এই শহর বসবাসের অনুপযুক্ত বলাই স্বাভাবিক। উন্নত বিশ্বের মতো প্লাস্টিকের বোতল, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদিতে ব্যবহারে কঠোর হতে হবে সরকার এবং সিটি করপোরেশনকে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” কার্যনির্বাহী সদস্য জনাব সীমান্ত আহমেদ বলেন- দেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে শহর তৈরি করতে হবে। শহরের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে দেশের প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় কে। পাশাপাশি তরুণদেরকে দিয়ে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।