দেশের প্রত্যেকটি এলাকা থেকে গৃহহীন মানুষকে খুঁজে খুঁজে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। জতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকটি মানুষকে যেভাবে পারি ঘর করে দেবো।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টায় কক্সবাজারের খুলশী উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আমাদের পর্যটক এলাকা। কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল ঝাউবন এটা জাতির পিতার নির্দেশেই করা হয়েছিল যেন প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাস থেকে কক্সবাজার শহরটা রক্ষা করা যায়। জাতির পিতার স্বপ্ন কক্সবাজার আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই পর্যটন শহর হিসেবে।

তিনি বলেন, আমাদের সমুদ্র সৈকতটা সারাবিশ্বের মধ্যে সব থেকে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। এতো সুন্দর এতো দীর্ঘ এবং যেখানে বালু আছে, বালুময় সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। এতো চমৎকার একটা জিনিস সেটা দেশের মানুষ এবং বিশ্বব্যাপী সবাই যেন উপভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্য নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিই। বিমানবন্দরটাকে এমনভাবে উন্নত করতে চাই, যেখানে হয়তো সারা বিশ্ব থেকে অনেকে আসতে পারবে, যত বড় বিশাল বিমান হোক নামতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দর নির্মাণ করতে গিয়ে দেখলাম জলবায়ু পরিবর্তন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে অনেকে ঘরবাড়ি, ভিটামাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে আছেন। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম তাদের পুনর্বাসন করব। সেই চিন্তা থেকেই এই প্রকল্প। এখানে নতুন শহরের মধ্যে মানুষ বসবাস করতে পারবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন ২০টি ভবন করা হয়েছে, ভবিষ্যতে বাকি ভবন করা হবে। এখানে সব কিছু থাকবে, ১৪টা খেলার মাঠ, সবুজ এলাকা থাকবে, মসজিদ, মন্দির থাকবে অন্য ধর্মাবলম্বী যদি থাকে তাদের প্রার্থনার জায়গাও থাকবে। স্কুল থাকবে, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুল করে দেবো।  পুকুর খনন করা হয়েছে সেখান থেকে সুপেয় পানি খেতে পারবেন। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ফাঁড়ি করা হবে, ফায়ার স্টেশন থাকবে। দুটো জেটি করা হবে যেখানে জাহাজ ভাঙতে পারবে। তাছাড়া যারা মাছ ধরতে যায়, তারা মাছ ধরে যেন শুটকি শুকাতে পারে সেজন্য শুটকি শুকানোর জায়গা করে দেবো, সুন্দর বাজার করে দেবো। শুটকির হাট করে দেবো, সেটা দৃষ্টিনন্দন করে। যেন সেখানে মানুষ দেখতে যান।

এছাড়া সোলার প্যানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুৎতের জন্য সাব স্টেশন করা হবে। বর্জ্য ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া বাকখালী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেছে, সেখানে ৫৯৫ দৈর্ঘের একটা প্লেস নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে ৪টি সাইক্লোন সেন্টার করা হবে। যে ভবন করা হয়েছে সেগুলোর নিচ তলা সম্পূর্ণ ফাঁকা অর্থাৎ জলোচ্ছ্বাস হলে পানি যেন এদিক থেকে ওদিকে চলে যেতে পারে।