জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ডিজির পদত্যাগ করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। সুতরাং করোনা মোকাবেলায় একজন ডিজির পদত্যাগই যথেষ্ট নয়, জাতির সাথে ধোঁকাবাজি ও প্রতারণা করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার পাপের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
বুধবার (২২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, দুর্নীতির যে ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে তা শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নয়, সমগ্র সরকার ব্যবস্থায় মহামারির মত ছড়িয়ে পড়েছে। বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থা অপশাসন আর দুর্নীতি নির্ভর হয়ে পড়েছে। মূল সমস্যাকে চিহ্নিত না করে কিংবা মূল সমস্যা উচ্ছেদ না করে যে কোন টোটকা ব্যবস্থা হবে নাটকীয়তার নামান্তর। ঘূণে ধরা ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা একটি স্বাধীন দেশের জন্য অকার্যকর; একে পাল্টাতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের নীতি নির্ধারণ ও কাঠামোগত দুর্বলতা ও ব্যাপক দুর্নীতির কারণে সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসাবিহীন হয়ে পড়েছে।
স্বাস্ব্যের এই চরম লণ্ডভণ্ড অবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে প্রয়োজন হবে বিদ্যমান অসুস্থ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে পুরোপুরি নতুন, যুগোপযোগী ও গণমুখী একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
তাই আর দেরি না করে সর্ব প্রথম জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠনপূর্বক পুরো স্বাস্থ্য কাঠামোকে ঢেলে আশু, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে স্বাধীন দেশের জনগণের উপযোগী একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে ৬ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছে আ স ম আব্দুর রবের সংগঠনটি। সেগুলো হলো-
(১) অবিলম্বে সকল অংশীজনের সমন্বয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
(২) সকল মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মত মৌলিক বিষয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমুখী জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করতে হবে।
(৩) স্বাস্থ্যসহ সকল খাতের দুর্নীতির সাথে জড়িত রাঘব বোয়ালদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
(৪) স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
(৫) হাসপাতালসহ সমগ্র স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে দক্ষ, আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করতে হবে।
(৬) প্রত্যেক নাগরিকের ন্যাশনাল আইডির বিপরীতে কম্পিউটারাইজড স্বাস্থ্য ডাটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সরকারকে দ্রুত এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে মানুষের মূল্যবান জীবন সুরক্ষার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান তিনি।