রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা- গত কয়েক মাসে বেশিবার শোনা কিংবা বলা শব্দগুলোর মধ্যে একটি। কেন এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কথা বারবার বলা হচ্ছে? কারণটি কারো অজানা নয়। করোনাভাইরাস ইতিমধ্যেই মহামারী আকার ধারণ করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি এর কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন। তাই বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়ে আসছেন। কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলে করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করা সম্ভব।
শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় সঠিক খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সব চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা একমত। তবে একই সঙ্গে এটাও ঠিক যে অনেকে অতিরিক্ত জিম ও এক্সারসাইজ করেন। তা আবার ইমিউনিটি বাড়ানোর বদলে কমিয়ে দিতে পারে।
নিয়মিত যোগাসন ও অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ কমে। আসলে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজকর্ম ও দুশ্চিন্তার ফলে আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই স্ট্রেস হরমোন আবার ইমিউনিটি কমিয়ে দেয়।
প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর দিতে হবে সবাইকে। এমন কোনো খাবার খাওয়া যাবে না যা শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। আবার খাবারের সবচেয়ে বেশি গুণ শরীরে প্রবেশ করতে পারে এমন ভাবে খাবারও খেতে হবে। খাবারগুলোকে সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করতে হবে। জেনে নিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই তিনটি খাবার কীভাবে খাবেন-
রসুন: এই সবজিটি শরীরে দারুণ উপকারী কিছু এনজাইম প্রবেশ করায়। সাধারণত কুচি করে বা বেটেই এই সবজি রান্নায় দেওয়া হয়। কিন্তু রসুন কখনো কেটেই রান্নায় দিয়ে দেবেন না। অন্তত কেটে রাখার পর ধুয়ে ১০ মিনিট বাতাসে রেখে তার পর রান্নায় দিন।
টমেটো: কাঁচা টমেটো না খেয়ে সেটি রান্নায় দিয়ে খান। এতে সবচেয়ে বেশি গুণ ঢুকবে শরীরে। উত্তাপ পেলে তা থেকে নিঃসরণ হয় লাইকোপেন। এটাই শরীরের জন্য উপকারী।
ব্রোকোলি: কখনোই এই সবজি ভেজে বা সেদ্ধ করে খাবেন না। কাঁচা খান বা ভাপে সেদ্ধ করে খান। ভিটামিন সি, অ্যান্টি ক্যান্সার কম্পোনেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই সবজি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।