বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এই সময়ে তা আরও বেশি জরুরি। তবে আপনি হয়তো নিজের অজান্তেই বাথরুমের কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে বাড়ির চারদিকে জীবাণু ছড়াচ্ছেন। বাড়ির ভেতর সবচেয়ে বেশি জীবাণু সম্ভবত বাথরুমেই থাকে। তাইতো বাথরুম পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সবাই কম-বেশি সচেতন।

বাথরুমের মেঝে এবং প্যান পরিষ্কার করলেও, হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা পরিষ্কার করতে আমরা ভুলে যাই। জেনে নিন কয়েকটি সাধারণ ভুল সম্পর্কে যা বাড়ির চারপাশে জীবাণু ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়-

Bathroom-1

টয়লেট সিটে বসে মোবাইল স্ক্রোল করা
টয়লেটের সিটে বসে আমাদের ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এই অভ্যাস স্থূল। বাথরুমে ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস বাদ দেয়া উচিত। মলের জীবাণুগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, যা আপনার ফোনের পৃষ্ঠের মাধ্যমে বাথরুমের বাইরে ছড়িয়ে যেতে পারে।

Bathroom-2

হাত সঠিকভাবে না ধোয়া
অসুস্থতা রোধ করার এবং হাতের জীবাণু থেকে মুক্তির সর্বোত্তম উপায় হলো হাত সঠিকভাবে ধোয়া। ভুলভাবে হাত পরিষ্কার করলে বাথরুমের জীবাণু সাথে করে বাইরে নিয়ে আসার ভয় থাকে। জীবাণু থেকে মুক্তি পেতে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান এবং হাত পানি দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। পাশাপাশি নখের নিচে পরিষ্কার করার কথা ভুলবেন না, এখানে সবচেয়ে বেশি জীবাণু আটকে থাকতে পারে।

Bathroom-5

হ্যান্ড স্যানিটাইজা ব্যবহার না করা
হাত ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে আপনি যদি বাইরে থাকেন এবং সাবানের বার খুঁজে না পান তবে আপনার হাত পরিষ্কার করার জন্য পানি ব্যবহার করুন এবং তারপরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। স্যানিটাইজার আপনার হাতকে দীর্ঘ সময় জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে।

Bathroom-5

পুরো পরিবারের জন্য একটি তোয়ালে ব্যবহার
পাবলিক ওয়াশরুমগুলিতে যে কাগজের তোয়ালেগুলো থাকে সেরকম তোয়ালে বাড়িতেও রাখুন। এগুলো ফ্যাব্রিক তোয়ালের তুলনায় জীবাণুর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বেশি কার্যকরী। তবে যদি তা সম্ভব না হয় তবে হাত মোছার তোয়ালে ঘন ঘন পরিবর্তন করুন। প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করুন।

Bathroom-5

পাবলিক টয়লেট ব্যবহার
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, পাবলিক টয়লেটের এয়ার ড্রায়ারগুলো স্বাস্থ্যকর নয়। সুতরাং, আপনার পার্সব্যাগে সব সময় একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন।