বর্ষায় যেসব সমস্যা আমাদের কাবু করে রাখে তার মধ্যে একটি হলো অ্যালার্জি। স্যাঁতস্যাঁতে চারপাশ, রোদের দেখা না পাওয়া, ভেজা জামা-কাপড় সব মিলিয়ে ঘরের ভেতরে দূষণ বাড়ে। করোনার ভয়ে ঘরের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। তাই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে এটি সাহায্য করবে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া মানেই করোনাভাইরাসের ভয়টা বেড়ে যাওয়া। বাড়িতে থাকা নানা আসবাবপত্রে সবচেয়ে বেশি ধুলো জমে। সেখান থেকেও বাড়তে পারে অ্যালার্জির সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে অ্যালার্জিকে অবহেলা না করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। কীভাবে সুস্থ থাকবেন তা প্রকাশ করেছে এই সময়।
ঋতু পরিবর্তনের সময়ই যদি অ্যালার্জির সমস্যা হয় তবে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় কোনো খাবার, কোনো বিশেষ সময়, কোনো বিশেষ কাপড়ের পোশাক, কোনো বিশেষ জিনিস থেকেও অ্যালার্জি শুরু হতে পারে। এর পাশাপাশি ধুলোবালি তো রয়েইছে। খেয়াল রাখুন মাস্কের প্রতিও।
পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি যদি সর্দির ধাত থাকে তবে নাক সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। নাকের মাধ্যমেই মূলত অ্যালার্জির উপাদান শরীরের ভেতর ঢোকে। প্রয়োজনে স্টিম নিন, নাকের স্প্রে নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ফেলুন।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৩৩ শতাংশ অ্যালার্জির রোগী সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পান না। এর কারণ হলো সচেতনতার অভাব। বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, অ্যালার্জির দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা নেই। তাই যতক্ষণ না রোগ বড় আকারে দেখা দিচ্ছে, ততক্ষণ তারা চিকিৎসা করেন না।
ঘরবাড়ি পরিষ্কার না থাকলে মূলত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। এর কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়ার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র্যাশও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রথমেই ঘরের পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। এরপর সবুজ শাক-সবজি, গ্রিন টি, ঘি খাওয়া এবং ভেপার নেয়া যেতে পারে।