পৃথিবীজুড়ে অস্থিরতা, উদ্বিগ্নতা। মন ভালো নেই কারও। মন খারাপের জন্য তাই এই সময়ে অন্যকিছুর দরকারও নেই। ভাবছেন, দইয়ের সঙ্গে মন খারাপের কী সম্পর্ক? তাহলে শুনুন, চকোলেটের মতো দই খেলেও মন ভালো হয়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, মন খারাপ কাটাতে একবাটি দই বেশ কার্যকরী। মন খারাপের সময় একবাটি দই খেয়ে নিলেই দেখবেন মন খারাপ দূর হতে শুরু করেছে। মনের ভেতরে থাকা নানারকম দুঃখ তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে মস্তিষ্কে বেশ কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণের ফলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে।

যদি রাতের বেলা মন খারাপ হয়? অনেকে মনে করেন, রাতে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। সত্যি কি তাই? সাধারণত রাতের বেলা দই খেলে শরীরের তেমন কোনো ক্ষতি হয় না।

jagonews24

যাদের একটুতেই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ধাত রয়েছে, তাদের সন্ধ্যার পর দই না খাওয়াই ভালো। কারণ দই খেলে শরীরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু রাতে দই খেলে শরীরের খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়।

দিনের বেলা খালি দই খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু যদি রাতে দই খাওয়ার ইচ্ছে জাগে, তবে দইয়ের সঙ্গে অল্প চিনি বা গোলমরিচ মিশিয়ে তারপর খেতে হবে। এতে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ফলে গ্যাস্ট্রিকের ভয় কমবে।

গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন, দইয়ে উপস্থিত ল্যাক্টোব্যাসিলাস, সহজ কথায় উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র বদলে দেয়। ফলে ডিপ্রেশন বা অবসাদ দূরে পালায়।

jagonews24

আমাদের ডিপ্রেশন বা মন খারাপ তখনই হয়, যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও দই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে।

বেশ কিছু গবষণায় দেখা গেছে, পাকস্থলিতে উপস্থিত মাইক্রোবায়োম মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো-মন্দের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। মন বা মস্তিষ্কের সম্পর্ক ভালো রাখতে প্রতিদিন একবাটি দই থাকুক খাবারের তালিকায়।

মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনোভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস তো কমেই, সঙ্গে উৎকণ্ঠাও কমতে শুরু করে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে দই।