দিনে একটি আপেল খেলে চিকিৎসক থেকে দূরে থাকা যায়- এই প্রবাদ বেশ পুরোনো। আপনি কি জানেন যে, আপেলকে বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর ফল হিসেবে ধরা হয়? জেনে অবাক হবেন, আপেল অনায়াসে আমাদের শরীরের সর্বাধিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে! প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর আঁশে ভরপুর আপেল আমাদের শরীরে ভাইরাস আক্রমণ ঠেকায়। এটি সবরকম রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেএকটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা সময়ের দাবি। শুধুমাত্র মারাত্মক ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে নয়, সংক্রমণ এবং অন্যান্য অসুস্থতা দূরে রাখতেও আমাদের শরীরে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রয়োজন।

Apple-1.jpg

আসলে আমাদের শরীরে কোনো আক্রমণকারী যেমন মাইক্রোব, উদ্ভিদ পরাগ বা সাধারণ ভাইরাসের সাথে লড়াই করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি প্রায়শই ইনফ্লামেশন নামক একটি প্রক্রিয়া শুরু করে। আপেলে ফাইটোকেমিক্যাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি মৌসুমী সর্দি, ফ্লু এবং অন্যান্য অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে পারে।

আপেল শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পরিচিত। এটি ফ্লুর মতো রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। আপেল প্যাকটিনের মতো দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ যা স্থূলতাজনিত রোগের সাথে সম্পর্কিত প্রদাহকে হ্রাস করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

Apple-1.jpg

আপেল ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস যা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামেও পরিচিত। ভিটামিন সি একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি যা আমাদের শরীরে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আপেল খাওয়ার আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো এর উচ্চ ফাইবার যা হজম ক্ষমতা এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি বিপাক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

Apple-1.jpg

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সাস্থ্যকর খাবার রাখার বিকল্প নেই। তাই খাবার বেছে নেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে, যেন সেগুলো শরীরের জন্য উপকারী হয়। জাঙ্কফুড খেতে আপনার ভালোলাগতেই পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। সুতরাং নিশ্চিন্তে আপেল বেছে নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

আপেল আরও সুস্বাদু করতে এটি দিয়ে বিভিন্ন রেসিপিও তৈরি করতে পারবেন। এতে করে স্বাদের একঘেয়েমি দূর হবে। মিষ্টি থেকে সালাদ কিংবা গ্রিলড মাংস পর্যন্ত আপেল যেকোনো খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

Apple-1.jpg

অ্যাপল বহু শতাব্দী ধরে একটি ‘অমৃত ফল’ হিসাবে পরিচিত। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে এটি শরীরে প্রদাহ এবং ভাইরাস দূর করতে পারে। অতএব, আপনি যদি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আপনার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে এই আশ্চর্যজনক ফল ছাড়া আপনার ডায়েটের পরিকল্পনা করবেন না!