৯ জুলাই (২০২০) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ সংসদের অষ্টম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের দলীয় পরিচয় বিবেচনা না করেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে। ‘কে কোন দলের সেটি (আমাদের কাছে) বড় কথা নয়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি বন্ধ করতে গিয়ে সরকারকে উল্টো দুর্নীতির দোষ দেয়া হচ্ছে। ‘আমরা (দুর্নীতিবাজদের) ধরছি। আর চোর ধরে যেন আমরাই চোর হয়ে যাচ্ছি।’ তবে, আওয়ামী লীগ সরকার অনিয়ম বন্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই কথা মিডিয়ায় আসার পরের দিনই স্বাস্থ্য খাতে বিগত ১০ বছরের দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একটি বিশেষ সংস্থাকে। গ্রেফতার করা হয়েছে কোভিড-১৯ নিয়ে প্রতারণা ও দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিবর্গকে। বিশেষত করোনা পরীক্ষায় ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণাসহ বিভিন্ন দুর্নীতির খলমানব রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম এবং একইভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরী ও অন্যতম সহযোগী তার স্ত্রী জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।