গত কয়েকদিনে লিবিয়া হতে ছোট ছোট নৌকায় করে প্রায় ২ শতাধিক বাংলাদেশি ইতালিতে প্রবেশ করেন। নৌকাগুলোতে অন্যদেশের অভিবাসীরাও ছিলেন। ইতালির সরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সকল বাংলাদেশিদের একসঙ্গে বসবাসের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়। এই ব্যবস্থাপনার আলোকে প্রায় দুইশতাধিক বাংলাদেশি অভিবাসীকে নিয়ে আসা হয় ইতালির দক্ষিণাঞ্চলের শহর কালাব্রিয়াতে।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজ জানায় জানায়, সেই শহরে একটি অভিবাসী ক্যাম্পে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা করা হয়। তৎক্ষণাৎ ধড়া পরে ১৩ জন বাংলাদেশির শরীরে করোনা পজিটিভ। খবরটি স্বাস্থকর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে স্থানীয় জন সাধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানায় যায়, করোনার কঠিন দিনগুলোতেও কালাব্রিয়াতে সংক্রামণের সংখ্যা ছিল খুবই কম।
বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে ১৩ জনের করোনার সংক্রমণ রয়েছে, তা জানার পর শহরটির সাধারণ জনগণ আক্রান্তদের ওই শহর হতে বিতাড়িত করতে আন্দোলন শুরু করে। আর সেই আন্দোলনের মুখে প্রশাসন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্ত ১৩ বাংলাদেশিকে রাজধানী রোমের একটি কোভিট-১৯ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ১৩ জনকে হাসপাতাল পাঠালেও বাকিদের রাখা হয় কোয়ারেন্টিনের কঠোর নজরধারিতে। এদিকে কালাব্রিয়া শহরে করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশিদের তাড়াতে স্থানীয় বিক্ষোভ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়া হতে প্রায় ২০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী ইতালি প্রবেশের অপেক্ষা করছেন। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশি। অস্থিতিশীল লিবিয়াতে এখনো প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী বাস করে। দেশটিতে বর্তমানে মোট ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বিদেশী শ্রমিক এখনো কাজ করেন। কয়েক বছর আগে তা ছিল ৩ মিলিয়নেরও বেশি।