দুর্নীতির অভিযোগের মুখে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী এলিস ফখফখ পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার (১৫ জুলাই) তিনি প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের কাছে পদত্যাপত্র জমা দেন।

তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এলিস ফখফখ-এর বিরুদ্ধে একদিকে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে। অন্যদিকে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার তিনি পদত্যাগ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যেন আর না বাড়ে; সেজন্য পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফখফখ।

২০১৯ সালের অক্টোবরের তিউনিসিয়ার সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয় দেশটির ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এন্নাহদা। তবে সরকার গঠনের মতো পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয় দলটি। এ নিয়ে চার মাসের অচলাবস্থার পর সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অর্থমন্ত্রী এলিস ফখফখ। এন্নাহদা-ও তাকে সমর্থন দেয়। তবে সম্প্রতি তার শেয়ার রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলে সমালোচনার ঝড় উঠে। এক পর্যায়ে তার প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় পার্লামেন্টের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল এন্নাহদা। মূলত দলটির পক্ষ থেকে অনাস্থা আনার পরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ফখফখ।