সুখী দাম্পত্য জীবন সফলতা লাভের অন্যতম মাধ্যম। বিশেষ কারও সাথে আজীবন অংশীদারিত্ব, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাকে পাশে পাওয়া অত্যন্ত সুখের বিষয়। অনেক মানুষ তাদের বিবাহিত জীবন নিয়ে সংশয়ে ভোগেন। অনেকরকম নেতিবাচক ভাবনা এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। যা মূলত দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এরচেয়ে ইতিবাচক ভাবনা তৈরি করুন। খারাপের চেয়ে ভালো জিনিসগুলোতে ফোকাস শুরু করুন। কিছু ইতিবাচক লক্ষণ রয়েছে যা বলে যে আপনার বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হবে, এমনটাই জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
একে অপরের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা
ছোট ছোট ঝগড়া কিংবা মতবিরোধ দাম্পত্যসম্পর্কে স্বাভাবিক ঘটনা। তবে ঝগড়ার পরেও যদি একে অপরের দিকে খেয়াল রাখেন এবং তিনি ভালো থাকলেই আপনি নিশ্চিন্ত হন তবে আপনারা উভয়েই একে অপরকে ভালবাসেন। আপনার সম্পর্ক সারাজীবনের।
পরস্পরের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস
মতবিরোধের কারণে অনেকেই সম্পর্ক নিয়ে জটিলতায় ভোগেন। তবে যদি পরস্পরের প্রতি সম্মান ও বিশ্বাস বজায় থাকে তবে জীবনের ক্ষুদ্র বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা উচিত নয়।
সঙ্গীর প্রতি অনুগত
বিশ্বাস এবং আনুগত্য যেকোনো সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক। এমনকি যখন সবকিছু শেষ বলে মনে হতে পারে তখনও আপনি যদি আপনার সঙ্গীর উপর বিশ্বাস রাখেন এবং সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে জাদুকরী প্রভাব ফেলবে।
একে অপরের সিদ্ধান্তকে সম্মান
শ্রদ্ধা এমন একটি জিনিস যা বিয়েরর মতোই পবিত্র। যদি পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে তাহলে বুঝবেন আপনারা পরস্পরকে ভালোবাসেন। ছোট ছোট অপ্রাপ্তিতে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। কিছু বিষয় আসলে অনুভবের।
একে অপরকে অগ্রাধিকার দেয়া
সঙ্গীকে অগ্রাধিকার দেয়া আপনার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার পরিচয় বহন করে। যদি পরস্পরের আত্মীয়, বন্ধু, না করণেও খুব একটা সমস্য নেই এমন কাজের থেকেও একে অপরকে গুরুত্ব দেন, তবে ধরেই নেয়া যায়, আপনারা সারাজীবন একসঙ্গে থাকবেন।
একসাথে সময় কাটাতে ভালবাসেন
সমস্ত ঝগড়া, কথা কাটাকাটির শেষেও আপনারা একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারেন না? বরং একসঙ্গে সময় কাটাতে বেশি ভালোলাগে? সে পাশে থাকলেই পৃথিবীটা বেশি সুন্দর মনে হয়? এমনটা হলে বুঝবেন রসায়ন এখনও আপনার দুজনের মধ্যেই বেঁচে আছে। আকর্ষণটি বাঁচিয়ে রাখার জন্য দুজনকেই চেষ্টা করতে হবে।