গ্রেফতারের পর রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‍্যাব। সেখানে উপস্থিত থাকা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাহেদ অনেকটা নির্ভার ছিলেন। এসময় বেশ কয়েকবার দম্ভোক্তি করেন তিনি।

র‍্যাব কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে সাহেদ বলেন, আমাকে ছয় মাসের বেশি সময় আটকে রাখা যাবে না। নিজের পত্রিকার লাইসেন্স আছে উল্লেখ করে যে সকল সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদকর্মীরা তার ছবি তুলছে এবং সংবাদ প্রকাশ করছে তাদেরও দেখে নেবার হুমকি দেন তিনি

রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ার‌্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে সাহেদের বাসায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকা পাওয়া গেছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাবের একটি দল এ অভিযান শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আবারও র‌্যাব সদর দফতরে নেয়া হয়েছে।

অভিযানে সাহেদের বাসায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকা পাওয়া গেছে। অভিযানে অংশ নেয়া আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে অভিযানের বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই মুহূর্তে কিছু বলতে রাজি হননি। র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

র‌্যাব সদস্যরা দুইটি শাবল নিয়ে সাহেদের বাসায় প্রবেশ করে। সেখানে হয়তো এমনকিছু লুকিয়ে রাখা হয়েছে, যা ভাঙতে হবে।

এর আগে, আজ (বুধবার) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতারের পর তাকে র‌্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।