ধরুন, রাতের মাঝামাঝি হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলেন। জানালার বাইরে তাকালেন, সেখানে এখনও জমাট অন্ধকার। সময় কত তা দেখার জন্য ফোন হাতে নিলেন এবং দেখতে পেলেন, কেবল ৩টা বাজে।
আপনার সাথে কি কখনো এমন ঘটেছে?
অনেকেই এই পরিস্থিতির সাথে পরিচিত। এটা এত বেশি ঘটে যে অনেকে সময় দেখেই না। কারণ তারা জানে তখন সময় ৩টা বা সাড়ে ৩টা হবে। আপনার সঙ্গে এমনটা ঘটলে জেনে নিন, আপনি একা নন। আপনি এটি কেবল একটি কাকতালীয় ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করে ফের ঘুমিয়ে যেতে পারেন তবে এর পেছনে আছে বৈজ্ঞানিক কারণ।
কেন লোকেরা রাতে জেগে ওঠে
রাতে জেগে ওঠার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। অনেক সময় মানুষেরা নিজের শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করার জন্য জেগে ওঠে। রাতে বেশ কয়েকবার জেগে উঠে আবার ঘুমিয়ে যাওয়া এক ঘুমের পর্যায় থেকে অন্য ঘুমের পর্যায়ে নিয়ে যায়। মানুষেরা এত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য জেগে ওঠে যে একথা সকালে তাদের মনেই পড়ে না।
বিজ্ঞান অনুসারে, গড়ে একজন ব্যক্তি প্রতি রাতে প্রায় ৭ থেকে ১৫ বার ঘুম থেকে ওঠেন। আপনারা কেউ কেউ এটিকে অস্বাভাবিক হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন, তবে এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ঘটনা।
রাত ৩টা নিয়ে কৌতুহল
প্রায় ৩টার দিকে আমরা গভীর ঘুম থেকে হালকা ঘুমের দিকে এগিয়ে যাই। আপনি যদি রাত ১১ টা নাগাদ বিছানায় যান, রাত ৩টার মধ্যে আপনি গভীর ঘুম থেকে হালকা ঘুমের সময়কালে চলে যাবেন, যা আরইএম নামে পরিচিত। এই বিশেষ কারণে, আপনি প্রতি রাতে একই সময়ে প্রায় জেগে ওঠেন।
রাতে ঘুম থেকে ওঠার অর্থ এই নয় যে আপনার অনিদ্রা বা ঘুমের কোনো সমস্যা আছে, তবে ঘুম ভেঙে ওঠার পরে যদি আপনি আবার ঘুমিয়ে পড়তে সক্ষম হন। তবে, যদি সেই সময়ের পরে ঘুম আর না আসে তবে তা কোনো সমস্যার কারণ হতে পারে।
যদি আবার ঘুমাতে অসুবিধা হয়, তখন কী করবেন
নিয়মিত রাতে জেগে ওঠা এবং আবার ঘুমানোর জন্য চেষ্টা করেও না পারলে, পরের দিন সকালে তা আপনার মেজাজ এবং স্বাস্থ্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। সুতরাং, ফের ঘুমিয়ে যাওয়ার জন্য যদি পনের মিনিটের বেশি সময় নেয় তাহলে এভাবে চেষ্টা করতে পারেন-
* গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিন এবং ছাড়ুন।
* মেডিটেশন করতে পারেন।
* এমনকিছু পড়ুন যা আসলে বোরিং, এমনিতেই ঘুম চলে আসবে!
* রাতে ঘুম ভেঙে গেলেওে আপনার সেল ফোনটি ব্যবহার করবেন না। ইমেইল চেক বা অন্য কোনো কাজ যা আপনার মস্তিষ্ককে ভাবিয়ে তুলতে পারে, এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
এই ছোট ছোট কাজগুলো আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য মন এবং চোখ বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।