অভিযুক্ত ডিবি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এতে হতাশ নির্যাতিত যুবক ও এলাকাবাসী।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, পরিবারের অর্থ দেখে বানানো হয়- গাজা ব্যবসায়ী, ইয়াবা ব্যবসায়ী, অস্ত্র ব্যবসায়ী। দেশজুড়ে পুলিশ সদস্যদের এটি একটি সাধারন ঘটনা। পুলিশি নির্যাতন বন্ধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাজীকান্দি গ্রামের বাবা-মা হারা এতিম যুবক আলী হোসেন তার সহযোগী রুবেল।
হঠাৎ সেখানে হানা দেয় জেলার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রবিউল ইসলাম, এএসআই আল আমিন খন্দকার, এএসআই শাহীন ও কনস্টেবল করিম ও বাপ্পা। মাদক রয়েছে এমন অজুহাতে হাতকড়া পরিয়ে আলী ও রুবেলের দেহে তল্লাশি চালায় ডিবির সদস্যরা।
এক পর্যায়ে ওই যুবকদের শরীরে কিছু না পেয়ে ইয়াবা ও গাঁজার ছোট দুটি প্যাকেট দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাতেও ব্যর্থ হয়ে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাদের মাটিতে ফেলে পা দিয়ে লাথি এবং কিলঘুষি মারে ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
পরে ওই দুই যুবকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে সেখান থেকে ডিবির সদস্যরা চলে যান।
ভুক্তভোগী যুবকদের একজন বলেন, ‘৪-৫ জন লোক এসে মারধর করে।’
আরেক যুবক বলেন, ‘হাতকড়া পরায়ে হাতে গাঁজা দিয়ে দেয়। বলে তুই গাঁজার ব্যবসা করিস, তোর ওস্তাদও গাঁজার ব্যবসা করে।’
বিষয়টি ন্যাক্কারজনক বলে মনে করেন মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য ইয়াকুব খান শিশির। তিনি বলেন, ‘সচেতন নাগরিক সমাজ।’
এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে বিভাগীয় ব্যবস্থা।
এদিকে অভিযুক্ত ডিবির সদস্যরা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তাদের দাবি, ভুল বোঝাবুঝিতে ওই দুই যুবকের সাথে তর্কবিতর্ক হলেও কোনো নির্যাতন করেননি তারা।