করোনা পজিটিভ নিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করে কিছূ বাংলাদেশী। যার ফলে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন অনেকে। এছাড়াও যারা বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ফিরে গিয়েছেন তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না।
প্রায় দুই লাখ অভিবাসীর দেশ ইতালি। যা বাংলাদেশিদের জন্য দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সেখান থেকেই এরকম কঠোর একটি নির্দেশনা দেয়া হল বাংলাদেশিদের জন্য। এতে করে কর্মক্ষেত্রেও শঙ্কায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার ভেরিফাইড পেজে ১৩টি দেশের নাগরিকদের ইতালি প্রবেশে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ফরমান জারি করেন। এরমধ্যে বাংলাদেশিও আছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের যৌক্তিক কারণ নিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইতালি ফেরা ৭০ শতাংশ লোক করোনায় আক্রান্ত।
চলতি সপ্তাহে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে রাষ্ট্রীয় সফরকালে স্পেনিশ চ্যানেল ‘লা সেক্সতা’র সাথে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি খোলামেলা কথা বলেন বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে আসা লোকদের মাধ্যমে রাজধানী রোম সহ বিভিন্ন শহরে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ইস্যুতে।
প্রধানমন্ত্রী কন্তে বলেন, ‘বাইরের দেশ থেকে নতুন করে ভাইরাস সংক্রমণ কোনোভাবেই আমরা গ্রহণ করতে পারবো না। আমরা ইতালির বিভিন্ন বিভাগে শহরে নগরে বন্দরে স্পর্শকাতর সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি প্রক্রিয়া ঢেলে সাজিয়েছি সবকিছু মনিটরিং করার প্রয়োজনে। বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা পজিটিভ রোগীরা আমাদের দেশে আসবে আর আমরা তা মনিটরিং করবো না তা হতে পারে না’
সাক্ষাৎকারে প্রফেসর জুসেপ্পে কন্তে আরও জানান,’মহামারির সেকেন্ড ওয়েভ ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশসমূহের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়েছে আমাদের। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের যেসব নাগরিকেরা গত ক’দিনে ইতালি এসেছে তাদের ৭০ শতাংশ আমাদের অনুসন্ধানে করোনা পজিটিভ। বাংলাদেশ থেকে বের হওয়ার সময় তাদের কোনো কন্ট্রোল হয়নি, যে কারণে আমরা বাধ্য হয়েছি বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট বন্ধ করাতে।’