ভারতের জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম থেকে গণতান্ত্রিক অধিকার- খাদ্য সুরক্ষা, নাগরিকত্ব এবং ধর্ম নিরপেক্ষতার মতো মূল অধ্যায়গুলোকে বাদ দিয়েছে দেশটির হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ‘ভারতের সম্পর্ক: পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা ও মায়ানমার’ নামে অধ্যায়টিও ভারতের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক পঠনপাঠন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) ভারতের কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) এ ঘোষণা দেয়।
এর কারণ হিসেবে তারা দাবি করছে, করোনাভাইরাসের মতো মহামারি নিয়ে বিশ্ব লড়ছে, এই ‘অভূতপূর্ব পরিস্থিতির’ কারণে ২০২০-২১-এর পাঠ্যক্রম এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস করা হবে।
করোনাভাইরাসের সংকটকে সামনে এনে দেশটির জাতীয় শিক্ষা বোর্ড পাঠ্যক্রম থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো বাদ দিয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অধ্যায়- গণতান্ত্রিক অধিকার, ফেডারেলিজম, নাগরিকত্ব এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা।
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম সংশোধন করেছে বোর্ড। একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেডারেলিজম, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার অধ্যায়গুলো।
দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম থেকে ‘সমসাময়িক বিশ্ব সুরক্ষা’, ‘পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ’, ‘ভারতে সামাজিক এবং নতুন সামাজিক আন্দোলন’ ও ‘আঞ্চলিক সম্ভাবনা’ বিষয়গুলো একেবারেই সরিয়ে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড।
ভারতীয় সংবিধানের গণতান্ত্রিক অধিকার ও কাঠামো সম্পর্কিত অধ্যায়গুলো নবম শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের খাদ্য সুরক্ষাবিষয়ক একটি অধ্যায়ও অর্থনীতির পাঠ্যক্রম থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দশম শ্রেণির বই থেকে গণতন্ত্র ও বৈচিত্র্য, বর্ণ-ধর্ম ও লিঙ্গ এবং গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত অধ্যায়গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে।