করোনা ভাইরাস এর এই সময়ও থেমে নেই ঢাকা দক্ষিনের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম। প্রতিদিনই নগরভবনে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিনের নগরপিতা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা মহানগর দক্ষিনের বিভিন্ন সমস্যা এবং উন্নয়ন নিয়ে নবদেশ পত্রিকার নিবার্হী সম্পাদক সাইফুল মল্লিক এর সাথে কথা বলেছে জার্মান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রচার সম্পাদক, ধানমন্ডি “স্বজন” এর সভাপতি, লেটস গো-অন ফাউন্ডেশন “এলজিএফ” এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাব “বিওআইসি” এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সেন্ট্রাল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাহবুবুর রহমান রতন।
নবদেশ: ঢাকা দক্ষিনের এখন পর্যন্ত যে কার্যক্রম চলছে তাতে আপনি কি সন্তুষ্ট?
মাহবুবুর রহমান: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত আস্থাভাজন, বঙ্গবন্ধুর ভাইগ্না, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি ভাই তার সুযোগ্য সন্তান ঢাকা ১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, আমাদের ঢাকা দক্ষিনের এখন মেয়র। আমাদের আসনের এমপি হওয়ার সুবাদে আমি ব্যারিস্টার তাপস এর সাথে সব সময় সম্পৃক্ত ছিলাম। করোনাভাইরাসের এই ক্লান্তিলগ্ন সময়ে সে যেভাবে এগিয়ে চলছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
নবদেশ: নির্বাচনকালে অনেক বড় বড় উন্নয়নের কথা আপনারা বলেছিলেন ঢাকাবাসীকে মেয়র তাপস কে নিয়ে,তার কতটুকু আসলেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন?
মাহবুবুর রহমান: আমাদের তাপস সে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে পড়ালেখা করেছে, ১০ আসনের এমপি থাকা অবস্থায় এখানে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, যা আসলেই বিরল। ঢাকা ১০ এর উন্নয়নের মত আমরা যা দেখেছি এখন পুরো ঢাকা দক্ষিনের জনগন দেখতে পারবে। এই মহামারী সময় পার হওয়ার পরেই এর গতি অনেক প্রসারিত হবে বলে আমি মনে করি। আপনি বলেছেন বাস্তবতা, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি এই পর্যন্ত যত মেয়র ঢাকার উন্নয়নের চেষ্টা করেছে তার মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য আমাদের শেখ ফজলে নূর তাপস।
নবদেশ: আধুনিক শহর বলতে আপনি কি মনে করেন এবং এটা আদৌ ঢাকার জন্য সম্ভব?
মাহবুবুর রহমান: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর বিভিন্ন সময়ে আমি জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেছি। আধুনিক শহর এটা কোন বড় ধরনের সমস্যা নয়। নিয়ম কানুন এর মধ্যে সবকিছু তৈরি করলেই এই শহর বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
নবদেশ: কি ধরনের নিয়ম কানুন এবং কি ধরনের পরিবর্তন আপনি আশা করেন?
মাহবুবুর রহমান: প্রথমেই ঢাকার ময়লা- এই ময়লা আবর্জনা রাত তিনটা থেকে সকাল ছয়টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। এই ময়লা ছাই বানিয়ে ফেলতে হবে আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে। আধুনিক এই ছাই দিয়ে তৈরি হবে অতি মূল্যবান জৈব সার, যা বিক্রয়ের মাধ্যমে মুনাফাও করতে পারবে সিটি কর্পোরেশন।
নবদেশ: নির্বাচনের আগে বিভিন্ন মানুষ উন্নয়নের আশা দিয়ে থাকে, ঢাকা দক্ষিন এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে আপনি জোর গলায় কিভাবে বলতে পারেন?
মাহবুবুর রহমান: আমি প্রথমেই বলেছি যে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস কে, তাপস কে দিয়ে যদি ঢাকা দক্ষিন এর উন্নয়ন সম্ভব না হয়, তাহলে আর কেউ কে দিয়েই সম্ভব না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারি।
নবদেশ: সর্বশেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিন এর নগরপিতাকে কি বলতে চান?
মাহবুবুর রহমান: ঢাকাবাসী প্রথমেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে নগরভবনের কার্যক্রমে খুবই খুশি।
ঢাকাবাসীর প্রানের কিছু দাবি মধ্যে অন্যতম:
✓প্রত্যেক রিক্সা এবং এর চালককে লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে।
✓যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শহর থেকে অটো রিক্সা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে হবে।
✓ফুটপাত মুক্ত করতে হবে ঢাকা বাসীর জন্য এবং ফুটপাতে ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারন করতে হবে, স্থান এবং ঘন্টা হিসাব করে। সেই ব্যবসায়ীরাই সেইসব স্থান নির্দিষ্ট সময়ের পরে পরিস্কারের দায়িত্ব পালন করবে।
✓দৃশ্যমান রাস্তার পাশের সকল গ্যাস সিলিন্ডার যা খুবই বিপদজনক, সরিয়ে ফেলতে হবে মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে।
✓সকল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আধুনিক করন করার মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা উচিত।
✓রাত তিনটা থেকে ভোর ছয়টার মধ্যে শহরের সকল ময়লা সরিয়ে ফেলতে হবে।
এতে করে শহরবাসী নিরাপদে থাকতে পারবে বলে আমি মনে করি। সেই সাথে আমি আশা করব ঢাকার প্রত্যেকটি মানুষ ঢাকার দক্ষিনের মেয়র কে সার্বিক ভাবে সহায়তা করবে।
নবদেশ: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সময় এবং মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
মাহবুবুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার মাধ্যমে নবদেশ পত্রিকার এত সুন্দর একটি উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। দেশের সকল গনমাধ্যম কর্মীকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি দেশের উন্নয়নে আপনারাও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।