নানা কাজেই বাইরে যেতেই হয়। বাইরের ধুলো-বালির কারণে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তারুণ্য তুলে ধরতে সবার আগে চাই ত্বকের যত্ন। যে যত্নে ফেসিয়াল অন্যতম একটি উপায়। সাধারণ রূপচর্চার জন্যে ছেলেরা বাড়িতে ব্যবহার করতে পারে ফেস ওয়াশ, নানা ধরনের ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি। তবে ফেসিয়াল করতে পার্লারে যাওয়াই ভালো। কারণ, এখানে হরেক রকমের জিনিস দিয়ে মুখের নানা ধরনের দাগ বা সমস্যা দূর করা হয়, যা বাড়িতে সহজে করা যায় না। ছেলেদের ত্বকের চামড়া হতে পারে তৈলাক্ত, শুষ্ক বা সাধারণ। কোন ধরনের ত্বকের জন্য কীভাবে চর্চা প্রয়োজন তা জেনে নিন-

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য – ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বক হলে ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে এই ব্রণ জন্মাতে পারে না। তা ছাড়া রোদে পোড়ার সমস্যা হতে পারে। এতে করে বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে। তাই এই ধরনের ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত ফেসওয়াশ করা।

শুষ্ক ত্বকের জন্য – এই ত্বকে ফেসওয়াশের পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন।

সাধারণ ত্বকের জন্য – এই ত্বক নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই। রোজকার একটু যত্নেই এই ত্বক ভালো থাকে।

নানারকম ফেসিয়াল- সব ধরনের ত্বকেই বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল করা যায়। তার মধ্যে গোল্ড, সিলভার, ডায়মন্ড, হারবাল, সানবার্ন ফেসিয়াল, ম্যাসাজ ফেসিয়াল ইত্যাদি খুবই কাজের। বয়স বা সমস্যাভেদে ফেসিয়াল করা উচিত।

ফেসিয়ালের উপকার- ফেসিয়াল করতে, প্রথমে ত্বক পরিস্কার করে মুছে নিয়ে তারপর ক্রিম ব্যবহার করা হয়। কয়েক ধাপে ক্রিম ব্যবহারের পরে, ফেসিয়াল জেল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এরপর লোমকূপের ভেতরে থাকা ব্রণ, শাল, কালো ময়লা বা মরা চামড়া ইত্যাদি যত্ন করে তুলে নেওয়া হয়। এরপর নানা প্যাক লাগানো এবং আইস ম্যাসাজ ইত্যাদি করা হয়। ফেসিয়ালের ফলে ত্বক পরিষ্কার হয় ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া সানবার্ন বা মেচতা পড়লে নিয়মিত ফেসিয়াল করে তা তুলে ফেলা সম্ভব। ত্বক ভাল রাখতে, মাসে একবার পরিপূর্ণভাবে ফেসিয়াল করা উচিত। ত্বক ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসও জরুরি একটি বিষয়। প্রচুর জল পান করা,  মরসুমি  ফল বা তার রস, ডাবের জল, সব ধরনের লেবুর রস ইত্যাদি খেলে ত্বকে সতেজতা ও উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।